ভারী বৃষ্টিপাতের আভাস, বাড়তে পারে নদ-নদীর পানি
৪ আগস্ট ২০২১ ০৯:১২
ঢাকা: সাধারণত জুলাই-আগস্ট মাসে বৃষ্টিপাত ও বন্যার প্রবণতা বেশি থাকে। এ সময় মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় তাপমাত্রার তারতম্য ঘটতে থাকে। তারই অংশ হিসেবে দেশের কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি এ সময়ে নদনদীর পানি বৃদ্ধিরও পূর্বাভাস রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশালের অধিকাংশ স্থানে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মুহম্মদ আরিফ হোসেন জানিয়েছেন, উত্তর প্রদেশ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি বর্তমানে উত্তর-পশ্চিম মধ্য প্রদেশ ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ রাজস্থান সুস্পষ্ট লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত। এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু দেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় বিরাজ করছে।
বুধবার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যা পর্যন্ত খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গা এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, সিলেট ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্র-বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি থেকে ভারীবর্ষণ হতে পারে।
বৃষ্টির প্রবণতা বাড়ায় দেশের দক্ষিণাঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমে যাবে। তবে দেশের অন্যান্য স্থানে দিনের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকবে। পরিবর্তন নেই রাতের তাপমাত্রায়ও। এ সময় ঢাকায় দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ থাকবে ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার। বর্ধিত পাঁচ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তি থাকবে।
এদিকে রংপুর, রাজশাহী, দিনাজপুর, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, মাদারীপুর, ফরিদপুর, ঢাকা, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ/ দক্ষিণ পূর্ব দিক থেকে
ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা / ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদ- নদী বন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্ক-সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পূর্বাভাস অনুযায়ী দেশের বিভিন্ন নদ- নদীর ১০৯ টি স্টেশনের মধ্যে গতকাল (৩ আগস্ট) পানির সমতল বেড়েছে ৫৭টির। কমেছে ৪৬টির। অপরিবর্তিত আছে পাঁচটি স্টেশনের পানির সমতল।
পানি বৃদ্ধির কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, উত্তরের সীমান্তবর্তী ভারতের বেশ কিছু রাজ্যের বর্ধিত বৃষ্টিপাত এবং মেঘালয়, আসাম, দার্জিলিংয়ে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এ কারণে দেশের নদ-নদীর পানি বাড়লেও আপাতত বিপৎসীমার ওপরে যাওয়ার আশঙ্কা নেই।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানান, ব্রক্ষ্মপুত্র, যমুনা নদ- নদীর পানির সমতল স্থিতিশীল রয়েছে। যা আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এভাবেই থাকবে। বুধবার গঙ্গা নদীর পানি সমতল বাড়তে পারে তবে পদ্মার পানি সমতল স্থিতিশিল থাকতে পারে। এছাড়া দেশের উত্তর- পূর্বাঞ্চলে আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদীর গুলোর পানি সমতল বাড়ছে। যা দ্রুত স্থিতিশীল হয়ে যেতে পারে।
সারাবাংলা/জেআর/এএম