চোখ হারানোর ঘটনায় ২০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন নয়

।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

ঢাকা: চক্ষু শিবিরে চিকিৎসার নামে চুয়াডাঙ্গা শহরের একটি হেলথ সেন্টারে ‘চোখ হারানো’ ২০ জনকে এক কোটি করে ২০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

রোববার বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ অাদেশ দেন।

একই সঙ্গে চোখের চিকিৎসায় ২০ জনের চোখ অস্ত্রোপচারে কার্যকর, যথাযথ ও নিরাপদ ব্যবস্থা নিতে  নিষ্ক্রিয়তা কেন আইন  বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন অাদালত।

অাগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন, ডিসি ও এসপি, ইম্প্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কমিউনিটি হেলথ সেন্টার, ডা. মোহাম্মদ শাহীনসহ ১০ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

গেল ২৯ মার্চ একটি দৈনিকে ‘চক্ষু শিবিরে গিয়ে চোখ হারালেন ২০ জন! শীর্ষক শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনযুক্ত হাইকোর্টে এ রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইজীবী অমিত দাসগুপ্ত।

পত্রিকাটির  ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘চুয়াডাঙ্গার ইম্প্যাক্ট মাসুদুল হক মেমোরিয়াল কমুনিটি হেলথ সেন্টারে তিন দিনের চক্ষু শিবিরের দ্বিতীয় দিন ৫ মার্চ ২৪ জন নারী-পুরুষের চোখের ছানি অপারেশন করা হয়। অপারেশনের দায়িত্বে ছিলেন চিকিৎসক মোহাম্মদ শাহীন। তবে বাসায় ফিরেই ২০ জন রোগীর চোখে ইনফেকশন দেখা দেয়।

এসব রোগী ও তাদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ৫ মার্চ অপারেশনের পর ৬ মার্চ তাদের প্রত্যেককেই হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।

বাড়ি ফিরে ওই দিনই তাদের চোখে জ্বালা-যন্ত্রণা ও পানি ঝরতে শুরু করে। পরদিন তারা যোগাযোগ করেন ইম্প্যাক্ট হাসপাতালে।তবে বিষয়টি তখন গুরুত্ব না দিয়ে কোনো রকম চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে ফেরত পাঠানো হয় তাদের। কিন্তু যন্ত্রণা অসহনীয় হয়ে উঠলে ফের তারা ইম্প্যাক্টে যান। সেখান থেকে তখন কয়েকজন রোগীকে স্থানীয় এক চক্ষু বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। স্থানীয় ওই চক্ষু বিশেষজ্ঞ তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য জরুরি ভিত্তিতে ঢাকায় গিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন।

সারাবাংলা/এজেডকে/জেডএফ