সমুদ্রের চর দখল করে লোহার টঙ ঘর নির্মাণ
৬ আগস্ট ২০২১ ১৭:২৫
পটুয়াখালী: জেলার কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন সড়কের পশ্চিম পাশে সমুদ্রের চর দখল করে লোহার টঙ ঘর নির্মাণের অভিযোগ ওঠেছে সাজেদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। টঙ ঘরের নিচের ফাঁকা জায়গা সমুদ্রের বালু কেটে ভরাটের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
সমুদ্র আইন অনুযায়ী সমুদ্রের বালু চরে কোনো প্রকার স্থাপনা নির্মাণ নিষিদ্ধ থাকলেও আদালত আদেশের দোহাই দিয়ে তিনি দখল কার্যক্রম চালাচ্ছেন। স্থানীয় ভূমি কর্মকর্তা মৌখিকভাবে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে বললেও তিনি তা মানছেন না।
এদিকে সমুদ্রের সাদা বালুর চর দখল করে লোহার টঙ ঘর নির্মাণ কাজ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। স্থানীয়দের মতে, সমুদ্রের চরে মালিকানার দাবি নিয়ে টঙ ঘর নির্মাণে অন্য দখলদাররাও এতে উৎসাহিত হবে। সৈকতের এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এখন সময়ের দাবি।
মহিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশিলদার আ. আজিজ জানান, সমুদ্রের চরে টঙ ঘর নির্মাণ কাজ মৌখিকভাবে বন্ধ রাখার জন্য বলা হয়েছে। ওই পক্ষকে মালিকানার কাগজপত্র উপজেলা ভূমি অফিসে জমা দিতে বললেও তারা তা দেয়নি। আর সমুদ্রের বালুচর কেটে নেওয়ার বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) স্যারকে অবহিত করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, মামলার সরকারি উকিলের কাছ থেকে কাগজপত্র ও মামলার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জেনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আদালতের নিষেধাজ্ঞার কারণে তারা চাইলেও ব্যবস্থা নিতে পারছেন না।
এ ব্যাপারে সাজেদুল ইসলাম বলেন, ২০০৬ সালে তিনি কেএম শাহজালাল নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ওই জমি কিনেছেন। তখন এই জমি পতিত ছিল। ইয়াসের সময় তার আবাসিক হোটেল ও মার্কেট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানেই তিনি আয়রনের টঙ ঘর নির্মাণ করছেন। আদালত ওই জমিতে উচ্ছেদে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। নিষেধাজ্ঞায় উল্লেখ আছে, স্থাপনা নির্মাণ করে আমরা ওই জমি ভোগদখল করতে পারব। সরকার পক্ষ এতে বাঁধা প্রদান করতে পারবে না।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু হাসনাত মোহাম্মাদ শহিদুল হক বলেন, টঙ ঘর নির্মাণ ও বালু কাটা তহসিলদার পাঠিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। মালিকানার কাগজপত্র নিয়ে আসার কথা কিন্তু এখনো কেউ আসেনি। তবে নিষেধ করার পরেও যদি নির্মাণ কাজ ও বালু কাটা বন্ধ না করে তাহলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সারাবাংলা/এনএস