টানা দুই মাস বৈশ্বিক খাদ্যপণ্যের দর কমেছে
৭ আগস্ট ২০২১ ১১:৪৭
১২ মাস ধরে লাগাতার বৃদ্ধির পর গত জুনে বৈশ্বিক খাদ্যপণ্যের মূল্য নিম্নমুখী হয়। এ ধারা জুলাইয়েও অব্যাহত রয়েছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) ফুড প্রাইস ইনডেক্সে এ তথ্য উঠে এসেছে।
৫ আগস্ট এফএও’র প্রকাশিত সূচকে দেখা যায়, গত জুন মাসের তুলনায় জুলাই মাসে খাদ্যপণ্যের দাম কমেছে ১.২ শতাংশ। এতে খাদ্যপণ্যের গড় মূল্যসূচক দাঁড়িয়েছে ১২৩ পয়েন্টে। এ হ্রাসের পরও ২০২০ সালের একই সময়ের তুলনায় খাদ্যপণ্যের দাম ৩১ শতাংশ বেশি।
এফএও জানায়, জুলাই মাসে বিশ্ববাজারে দানাদার শস্য, দুগ্ধপণ্য ও ভেজিটেবল ওয়েলের দর কমেছে। এসব পণ্য সার্বিক মূল্যহ্রাসে ভূমিকা রেখেছে। বিপরীতে মাংস ও চিনির দর বেড়েছে।
এফএও’র সূচকে দেখা গেছে, জুন মাসের তুলনায় জুলাইয়ে দানাদার শস্যের দর কমেছে ৩ শতাংশ। আর্জেন্টিনায় ভুট্টার বাম্পার ফলন, যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি উৎপাদন সার্বিক মূল্যহ্রাসে প্রভাব ফেলেছে। বার্লির দাম কমলেও গমের দাম বেড়েছে।
একই সময়ে বিশ্ববাজারে চালের দর কমে দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে ঠেকেছে বলে জানিয়েছে এফএও। বৈশ্বিক মুদ্রা বিনিময়, আমদানি রফতানির বাড়তি খরচ ও নানা দেশে আইনি প্রতিবন্ধকতার কারণে চালের বিক্রির ধীরগতি এ পণ্যের দর পতনে ভূমিকা রাখছে। এছাড়া এফএও জানিয়েছে, জুন মাসের তুলনায় জুলাইয়ে দুগ্ধপণ্যের মূল্য ২.৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
ভেজিটেবল ওয়েলের দাম পাঁচ মাসের মধ্যে কমে সর্বনিম্ন হয়েছে জুলাইয়ে। জুন মাসের তুলনায় জুলাইয়ে ভেজিটেবল ওয়েলের দর কমেছে ১.৪ শতাংশ।
বিপরীতে জুনের তুলনায় জুলাইয়ে বিশ্ববাজারে চিনির দাম বেড়েছে ১.৭ শতাংশ। টানা ৪ মাস ধরে এ পণ্যের দর ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রেখেছে। এ পণ্যের মূল্য উত্থানের সঙ্গে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দরের চাঙাভাবের সম্পর্ক রয়েছে বলে জানিয়েছে এফএও। তবে ব্রাজিলে হিমপ্রবাহের কারণে উৎপাদনে অনিশ্চয়তা দর বৃদ্ধিতে প্রভাব রাখলেও, শীর্ষ রফতানিকারক ভারতে বাম্পার ফলনের পূর্বাভাস চিনির অত্যাধিক মূল্য বৃদ্ধিতে বাধা দিয়েছে।
এফএও’র সূচকে দেখা গেছে, গত জুন মাসের তুলনায় জুলাইয়ে বিশ্ববাজারে মাংসের মূল্যসূচক কিছুটা বেড়েছে। পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে মাংসের ব্যাপক আমদানি বিশ্ববাজারে চাহিদা বাড়াতে ভূমিকা রেখেছে। ফলে দরও কিছুটা বেড়েছে।
সারাবাংলা/আইই