নড়াইল: জেলার সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠের গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। গাছগুলোর আনুমানিক বাজার মূল্য ১০ লাখ টাকা। এ ঘটনায় সরকারের বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগও করা হয়েছে।
সম্প্রতি জেলার সদর উপজেলার তুলারামপুর ইউনিয়নের ৩৫ নং পি বি মালিডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এমন ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, মালিডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় লাগানো জাম ও মেহগনিসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ১০টি গাছ কেটে জরুরিভাবে ট্রাকে করে চাঁচড়া করাত কলে বিক্রি করা হয়। যার বাজার মূল্য ১০ লাখ টাকা। কোনো রকম নিয়মনীতি না মেনে সরকারি জায়গার গাছ কেটে নেওয়ায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ পরিস্থিতিতে স্থানীয় মনিরুল মোল্লা বিভিন্ন সরকারি দফতরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এ বিষয়ে মনিরুল জানান, প্রধান শিক্ষক কৃপা নাথ সিকদার ও সভাপতি সৈয়দ মিন্টু দাঁড়িয়ে থেকে এই গাছ কেটে বিক্রি করেছেন। যখন এলাকাবাসী প্রতিবাদ করেছে, তখন গাছের কিছু অংশ স্কুলের আঙ্গিনায় রেখে দিয়েছেন।
স্থানীয় জিল্লুর মোল্লা জানান, প্রায় ১২ লক্ষাধিক টাকার সরকারি গাছ কেটে বিক্রি করা হয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি, প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষা অফিসকে ম্যানেজ করে কোনো রকম নিয়মনীতি ছাড়াই ইচ্ছা মতো গাছগুলো কেটে নেন তারা।
এই অভিযোগের বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কৃপা নাথ সিকদার জানান, ‘গাছ কাটার আগে আমি উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মোকশুদুর হক স্যারকে জানিয়েছি। তিনি বলেছেন— নতুন ভবনের অজুহাতে গাছ কেটে ফেলেন। পরে আমরা দেখছি, যা কিছু করার শিক্ষা অফিসার করবে।’
এ বিষয়ে জানতে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মোকশুদুর হক জানান, গাছ কাটার বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
তবে উপজেলা শিক্ষা অফিসার আতিকুর রহমান জানান, ‘প্রধান শিক্ষক একজন চতুর প্রকৃতির লোক। তিনি আমাকে গাছ কাটার বিষয়ে কিছু বলেনি। তবে গাছ কাটার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া ইসলাম জানান, গাছ কাটার বিষয়ে আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম। আমার কাছে কেউ লিখিত অভিযোগ করে নাই। তবে বিষয়টি আমি তদন্ত করে দেখছি। যদি অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে অবশ্যই দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।