Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

হাসেম ফুড কারখানায় অগ্নিকাণ্ড, আরও ২১ জনের লাশ পেলেন স্বজনরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৭ আগস্ট ২০২১ ১৪:২৪

ঢাকা: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের মধ্যে আরও ২১ জনের মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শনিবার (৭ আগস্ট) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) মর্গে এসব মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

শনিবার বেলা ১২টা থেকে হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে বেলা ১টায় তা শেষ হয়। নারায়নগঞ্জ সিআইডি’র বিশেষ পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেন মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেন।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে দেলোয়ার হোসেন বলেন, আগের প্রক্রিয়া অনুযায়ী আজকে (শনিবার) ২১টি মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। হস্তান্তরের সময় মৃতদেহের দাফন বাবদ ২৫ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছে।

হস্তান্তরকৃত ২১টি মৃতদেহের পরিচয় হলো— কিশোরগঞ্জের সদর উপজেলার রঘুনন্দনপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের মেয়ে মাহমুদা আক্তার, একই উপজেলার চিংড়িরচর গ্রামের মুর্শিদ মিয়ার মেয়ে আমেনা আক্তার, চৌদ্দশত বগালেরপাড় গ্রামের মো. সেলিমের মেয়ে রহিমা, গাগলাইল গ্রামের মঞ্জুরের স্ত্রী মিনা খাতুন, কালিয়ারকান্দা গ্রামের চান মিয়ার ছেলে নাজমুল হোসেন, একই জেলার করিমগঞ্জ উপজেলা আব্দুল কুদ্দুসের মেয়ে রহিমা আক্তার, কটিয়াদী উপজেলার চান্দু মিয়ার মেয়ে রাবেয়া আক্তার, মিঠামইন উপজেলার মোহাম্মদ সেলিমের মেয়ে সেলিনা আক্তার, কটিয়াদী উপজেলার গৌরিপুর গ্রামের বাচ্চু মিয়ার মেয়ে তাসলিমা আক্তার, করিমগঞ্জের মুথরাপাড়া গ্রামের আ. কাউয়ুমের মেয়ে ফাকিমা আক্তার।

ভোলা জেলার শশীভূষণ থানার এওয়াজপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে নোমান, একই জেলার দক্ষিণ আইচা থানার চরহরিশ গ্রামের হাফেজ ফখরুল ইসলামের ছেলে মো. শামীম, চরফ্যাশন উপজেলার আব্দুল্লাহপুর গ্রামের মো. ফজলুর রহমানের ছেলে হাসনাইন, হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার মুইরা চরন সরকারের মেয়ে শেফালী রানী সরকার ও একই জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার সেলিম মিয়ার স্ত্রী আমৃতা বেগম।

বিজ্ঞাপন

 

নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার পূর্বরাম গ্রামের মৃত জাকির হোসেনের মেয়ে শান্তা মনি, রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার তেঁতুলিয়া সিকদার পাড়া গ্রামের গকুল শিকদারের ছেলে মাহবুবুর রহমান, জামালপুর সদর উপজেলার গোডারকান্দা গ্রামের শওকত হোসেনের ছেলে জিহাদ রানা, নোয়াখালী জেলার দক্ষিণ হাতিয়া থানার নতুন শুকচর গ্রামের বাহার উদ্দিনের ছেলে আকাশ মিয়া, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার চাঁনপুর গ্রামের পরভা চন্দ্র বর্মনের মেয়ে কম্পা রানী বর্মন এবং নিলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলা পানিয়ালপুকুর দোলাপাড়া গ্রামের মনকার হোসেনের ছেলে স্বপন মিয়া।

ঢামেক মর্গ সহকারী মো. সেকেন্দার আলী জানান, গতকাল শুক্রবার বিকেলে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল মর্গের ফ্রিজারে রাখা ১৫টি মৃতদেহ নিয়ে আসা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে। এছাড়া ঢামেক’র জরুরি বিভাগের ফ্রিজারে রাখা ৮টি লাশ শুক্রবার বিকেলে মর্গে নিয়ে আসা হয়।

এর আগে গত বুধবার সিআইডির এডিশনাল ডিআইজি ইমাম হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, রূপগঞ্জ কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৪৮টি পোড়া মৃতদেহের শনাক্তের জন্য ডিএনএ পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষার মাধ্যমে ৪৫টি লাশের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। বাকি ৩টি লাশের পরিচয় শনাক্ত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এর মধ্যে ২৪টি মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি ২১টি মরদেহ শনিবার হস্তান্তর করা হবে।

সারাবাংলা /এসএসআর/এনএস

২১ জনের লাশ পেলেন স্বজনরা হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ হাসেম ফুড কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

গুলশানে দুইজনের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:৫৫

ঢাকার পথে প্রধান উপদেষ্টা
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:৩৩

সম্পর্কিত খবর