Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বর্ষা মৌসুমেও নেই পানি, ব্যাহত হচ্ছে আমনের চাষ

আলতাফুর রহমান আলতাফ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
৭ আগস্ট ২০২১ ২২:২৭

লালম‌নিরহাট: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে অতিবৃষ্টিতে দেশের উপকূলীয় বিভিন্ন জেলায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। অথচ ভরা বর্ষা মৌসুমেও উত্তরের জেলা লালমনিরহাটে বৃষ্টির দেখা নেই। পানির অভাবে জেলার কৃষকরা আমন ধানের চারা রোপণ করতে পারছেন না। ফলে বর্ষা মৌসুমেও জমিতে সেচ দিতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।

এছাড়া ডোবা-নালায় পর্যাপ্ত পানি না থাকায় পাট জাগ দিতেও ভোগান্তিতে পড়েছেন পাটচাষিরা।

বিজ্ঞাপন

জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ না হওয়ার উদ্বিগ্ন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারাও। লালমনিরহাট খামারবাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কার্যালয়ের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘গত বছর বর্ষা মৌসুমে জেলায় ৮৭ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চারা রোপণের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে চাষ হয়েছিল ৮৫ হাজার ৫৭৫ হেক্টর। বৃষ্টির পানির অভাবে ১ হাজার ৬২৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করতে পারেননি কৃষকরা।’

এ বছর জেলায় ৮৫ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চারা রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কিন্তু গতকাল পর্যন্ত ৫১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ করা সম্ভব হয়েছে। বৃষ্টির পানির অভাবে ডিজেলচালিত শ্যালোইঞ্জিন ও বৈদ্যুতিক মোটর দিয়ে সেচের মাধ্যমে ৩৪ হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে কৃষকরা আমন ধানের চারা রোপণ করার চেষ্টা করছেন।’

আষাঢ় মাস শেষ হয়ে গেছে, শ্রাবণও অর্ধেক চলে গেছে। এখন যদি প্রাকৃতিক নিয়মে বৃষ্টিপাত না হয়, তাহলে এবারও কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রার জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ করা সম্ভব হবে না। এছাড়া এ বছর ৪ হাজার ৭৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। কিন্তু কৃষকরা পানির অভাবের কারণে পাট পচাতে পারছে না বলেও জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের হরিঠাকুর এলাকার চাষি আব্দুল করিম মাস্টার বলেন, ‘আমার তিন একর জমির মধ্যে এক একর আমন ধানের চারা রোপণ করতে পেরেছি। এখন দুই একর জমি পানির অভাবে ধানের চারা রোপণ করতে পারছি না। কিছু জমিতে ডিজেল চালিত শ্যালোইঞ্জিন দিয়ে চাষ করার চেষ্টা করছি।’

একই ইউনিয়নের হরিঠাকুর এলাকার শফিকুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, শাহ জালাল মন্ডলও একই কথা জানান।

লালমনিরহাট খামারবাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক (ডিডি) শামীম আশরাফ বলেন, ‘প্রাকৃতিক বিপর্যয় মাথায় নিয়েই আমাদের পরিকল্পনা ও কাজ বাস্তবায়ন করতে হবে। এখন পর্যন্ত ৬০ শতাংশ জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ করা হয়েছে। বাকি জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ করতে সেচ দিতে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’

সারাবাংলা/এমও

আমনের চাষ খরা বর্ষা মৌসুম বৃষ্টি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর