Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এসএমএস ছাড়া কেন্দ্রে ভিড় না করার পরামর্শ স্বাস্থ্য অধিদফতরের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৮ আগস্ট ২০২১ ১৭:৩৯

ঢাকা: দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ইউনিয়ন পর্যায়েও চলছে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচি। একইসঙ্গে নিয়মিত ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রমও চলছে। ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে ইউনিয়ন বা ওয়ার্ড পর্যায়ে নিবন্ধন ছাড়া জাতীয় পরিচয় পত্র দেখিয়ে ভ্যাকসিন দেওয়া হলেও নিয়মিত কেন্দ্রগুলিতে  এসএমএস ছাড়া মিলছে না ভ্যাকসিন। গতকাল ৭ আগস্ট এসএমএস ছাড়া নিবন্ধন করা কেন্দ্রে গিয়ে ভ্যাকসিন না পাওয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন অনেকেই। এমন অবস্থায় এসএমএস ছাড়া নিয়মিত ভ্যাকসিন কেন্দ্রে ভিড় না করার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

বিজ্ঞাপন

রোববার (৮ আগস্ট) দেশে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ পরামর্শ দেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক ও মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।

একদিকে দেশের ইউনিয়ন পর্যায়ে চলছে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম। অন্যদিকে নিয়মিতভাবে যেসব কেন্দ্রে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়ে থাকে সেখানেও ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হচ্ছে। কিন্তু কেন্দ্রগুলিতে ৩০০ থেকে ৩৫০ জনের ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা থাকলেও উপস্থিতি অনেক বেশি। আর তাই ভ্যাকসিন নিতে আসা মানুষদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে লাইনে দাঁড়িয়ে।

স্বাস্থ্যবিধি মানা ছাড়া এভাবে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকায় সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা থাকছে কী? — এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা কিন্তু বারবার সবার কাছে অনুরোধ করেছি। এসএমএস পাওয়ার পরে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য কেন্দ্রে যেতে। এসএমএস না পেয়ে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কেন্দ্রে গিয়ে অহেতুক ভিড় করবেন না। অবশ্যই কেন্দ্রে যাওয়ার সময় মাস্ক পরে যেতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে হবে। এ বিষয়ে আমাদের নাগরিক হিসেবে দায়িত্ব রয়েছে। আমরা যদি অহেতুক সেখানে ভিড় না করে এসএমএস পাওয়ার পর সেখানে যাই তাহলে দ্রুতই ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘একটু সুশৃঙ্খল হলে, ভ্যাকসিন প্রয়োগ কেন্দ্রে জনসমাগম অনেক কমে আসবে। অন্য যেসব স্থানে ইউনিয়ন বা ওয়ার্ড পর্যায়ে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম চলছে সেসব কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রয়েছে। এখানে প্রশাসনের সঙ্গে তারা কাজ করছে। তাদের সবার সহযোগিতা নিয়ে কাজ করলে আমরা আশা করি এই সমস্যা থাকবে না।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসবি/এমও

এসএমএস স্বাস্থ্য অধিদফতর

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর