ঢাকা: বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, টেকসই জ্বালানি ব্যবস্থা গড়ার নেপথ্যের কাজ সাফল্যের সঙ্গে শেষ হয়েছে। চাহিদা মোতাবেক তেল-গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। আবাসিক ব্যবহারের জন্য এলপিজি সহজলভ্য করার উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে।
রোববার (৮ আগস্ট) এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার ম্যাগাজিন আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর জ্বালানি কৌশল ও আমাদের জ্বালানি নিরাপত্তা’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাপেক্সকে গতিশীল করা হয়েছে। বাপেক্স আবিস্কৃত গ্যাস ক্ষেত্রসমূহে ১.৬ টিসিএফ গ্যাস মজুদ রয়েছে। জ্বালানির কার্যক্রমে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো হচ্ছে। সর্বোপরি জ্বালানি নেটওয়ার্ক বাড়ানোর কাজ অব্যাহত রয়েছে। দেশের গন্ডি পেরিয়ে আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রেও নেটওয়ার্ক সম্প্রসারনের কাজ চলমান। ৫টি গ্যাস ক্ষেত্র ক্রয় করে বঙ্গবন্ধু জ্বালানি নিরাপত্তার যে ভিত্তি রচনা করেছিলন তা ক্রমেই সম্প্রসারিত হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কোভিড পরিস্থিতিতেও বিদ্যুৎ ও জ্বালানির কার্যক্রম বাস্তবায়ন অব্যাহত রয়েছে। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ১০৪.২৭ শতাংশ বাস্তবায়ন করেছে। টেকসই জ্বালানি ব্যবস্থা গড়ার লক্ষ্যে দক্ষ মানবসম্পদের বিকল্প নেই। মানবসম্পদ উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।’
ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার আব্দুস সালেক।
এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার ম্যাগাজিনের সম্পাদক মোল্লাহ আমজাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মাঝে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সদস্য মকবুল-ই-ইলাহী চৌধুরী, পলিসি রিসার্চ ইনিস্টিটিউট অব বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হোসাইন ও অস্ট্রেলিয়ার আরএমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. ফিরোজ আলম সংযুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন।