‘সংগ্রাম-সংকটের নির্ভীক সহযাত্রী ছিলেন বঙ্গমাতা’
৯ আগস্ট ২০২১ ০০:৫৭
ঢাকা: বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সবসময় ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিরবিচ্ছিন্ন সমর্থন ও সহযোগিতা করেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। বঙ্গমাতা সকল সংগ্রামে ও সংকটে বঙ্গবন্ধুর নির্ভীক সহযাত্রী ছিলেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
রোববার (৮ আগস্ট) বিকেলে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগ নেতা এসব কথা বলেন।
এ সময় বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একদিনে জাতির পিতা হননি। তিনি ১৩ বছর কারাগারে ছিলেন, সারাজীবন লড়াই সংগ্রাম করেছেন। বেগম মুজিব সবসময় ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুকে নিরবিচ্ছিন্ন সমর্থন ও সহযোগিতা করেছেন। জীবন-মরণে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছিলেন জাতির পিতার সহযোগী। সংগ্রামে ও সঙ্কটে বঙ্গবন্ধুর নির্ভীক সহযাত্রী ছিলেন বঙ্গমাতা।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে শুধু স্বামী হিসেবে নয়, নেতা হিসেবেও গ্রহণ করেছিলেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। নির্ভীকভাবে তিনি মৃত্যু পর্যন্ত জাতির পিতার পাশে ছিলেন।
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্র প্রধানদের স্ত্রীরা কিভাবে চলে আমরা দেখি, তারা মানুষের সামনে শোপিস হিসেবে হাজির হয়। আমরা দেখি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া কিভাবে চলে। তাদের সঙ্গে বঙ্গমাতার তুলনা হয় না। তিনি দেশকে ভালোবাসতেন, মানুষকে ভালোবাসতেন। তিনি সম্পদের কথা ভাবেননি, অলঙ্কারের কথা ভাবেননি, বিত্ত-বৈভবের কথা ভাবেননি। জাতির পিতার সহধর্মিণী বেগম মুজিব সন্তানদের মানুষ করেছেন, নিভৃতে মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন। জাতির প্রয়োজনে সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ঘটনা ঘটিয়েছে খুনি মোশতাক জিয়া গংরা। তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল। এই কুচক্রীদের উত্তরাধিকারীরা এখনো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তাদের উত্তরসূরি বিএনপি-জামাত। তারা ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা করেছিল। দুটি ঘটনার উদেশ্য এক ও অভিন্ন। এই অপশক্তির বিরুদ্ধে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। এরা ধর্মীয় উন্মাদনা ছড়িয়ে দিয়ে, গুজব ছড়িয়ে অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি করতে চায়।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, গতকাল মির্জা ফখরুল বলেছেন— করোনার দ্বিতীয় ডোজের পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন দেশে নেই। বিএনপি মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। মির্জা ফখরুল ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তার নেত্রী ভ্যাকসিন নিয়েছেন আর এখন মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন। তারা মানুষকে বিভ্রান্ত করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায়।
সংগঠনে নীতি ও আদর্শবানদের যুক্ত করার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, নীতিহীন-আদর্শহীন কাউকে সংগঠনে আনা যাবে না। এক খুনি মোশতাক হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালিকে হত্যা করেছেন, বঙ্গমাতাকে হত্যা করেছেন, জাতির স্বপ্নকে হত্যা করেছেন। সুবিধাবাদীরা সব সময় সুযোগ খোঁজে। এদের কাছ থেকে সচেতন থাকতে হবে।
শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান রকিবুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের মহাসচিব কে এম শহিদ উল্যা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন— আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের উপদেষ্টা সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, ক্যাপ্টেন মোয়াজ্জেম হোসেন। আরও উপস্থিত ছিলেন— স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন, সাধারণ সম্পাদক তারিক সাইদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ২০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন রতনসহ প্রমুখ।
সারাবাংলা/এনআর/এনএস
আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম আওয়ামী লীগ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা সংগ্রাম-সংকটে নির্ভীক সহযাত্রী