Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

১০ মাসেও চূড়ান্ত হয়নি জবির ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নীতিমালা

জবি করেসপন্ডেন্ট
৯ আগস্ট ২০২১ ০৯:৫৭

উদ্বোধনের ১০ মাস পেরিয়ে গেলেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রী হলের নীতিমালা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। দুইজন প্রভোস্ট এখন পর্যন্ত এই হল নিয়ে কাজ করলেও চূড়ান্ত করতে পারেননি কোনো নীতিমালা। এমনকি হল হস্তান্তরের প্রক্রিয়াও সম্পন্ন করেনি শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর (ইইডি)।

জানা যায়, গতবছর ২০ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান ছাত্রী হলের উদ্বোধন করেন। এরমধ্য দিয়েই অনাবাসিক তকমা ঘুচে বিশ্ববিদ্যালয়টির। তবে হলের নীতিমালা কিংবা ছাত্রীদের সিট বণ্টন কার্যক্রমের কোনো অগ্রগতিও চোখে পড়েনি।

বিজ্ঞাপন

সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, নীতিমালা তৈরির জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গঠন করে দেওয়া কমিটির কাজ শেষ। তবে বিধিনিষেধের জন্য নীতিমালা নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে বসা সম্ভব হচ্ছে না। এদিকে এখনও নীতিমালা তৈরি না হওয়া এবং সিট বণ্টনেরও পদক্ষেপ না নেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর হলে ওঠা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মনে তৈরি হয়েছে শঙ্কা।

বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামীমা বেগম এ বিষয়ে বলেন, কমিটির নীতিমালা তৈরির কাজ শেষ। কিন্তু আমরা লকডাউনের জন্য উপাচার্যের সঙ্গে বসতে পারিনি। ১০ তারিখের পর লকডাউন শেষ হলে আমরা বসবো। আর নীতিমালা অনুমোদন হয় সিন্ডিকেটে, এই লকডাউনের জন্য সিন্ডিকেটও পিছিয়ে গিয়েছে।

হল প্রভোস্ট আরও বলেন, হলের আসবাবপত্রের জন্যও একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কোনো আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে থাকলে সেগুলো পরিবর্তন করে দেওয়া হবে।

ছাত্রীহলের কাজের অগ্রগতির ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দফতরের প্রধান প্রকৌশলী মো. হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, কন্ট্রাক্টর ও ইইডি হলটি হস্তান্তর করার জন্য লোক পাঠিয়েছিল। আমরা তখন এভাবে হলটি নিতে চাইনি। আমি তাদের বলি, আপনাদের লোক দেন আর আমি ইঞ্জিনিয়ার দিই। আমরা যৌথ টিম মিলে আগে ভিজিট করি যে, সব কাজ ঠিকমতো হয়েছে কি না। তারপর হল পরিদর্শন করে যেসব ত্রুটি রয়েছে সেগুলোর তালিকা করে সংশোধনের জন্য বলা হয়। এরপর তারা কাজ ধরেছে এবং অনেক গুলো কাজ তারা করেছেও। কিন্তু এখনও শতভাগ হয়নি, কিছু কাজ বাকি আছে। কতটুকু করেছে তা আসলে লকডাউনের কারণে দেখা সম্ভব হয়নি। তবে এমনিতে হলের কাজ শেষ। লিফট চারটিই চালু হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, আসবাবপত্রের ব্যাপারে একটু ঝামেলা হয়েছিল। কিছু ত্রুটি পরিলক্ষিত হয়েছিল। তখন আবার যারা আসবাবপত্র সরবরাহ করেছে বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফআইডিসি) তাদের চিঠি দেওয়া হয়। পরে তাদের আবার লোক এসেছিল। তারা এটা মেরামত করলে বুঝে নেওয়া হবে।

হল হস্তান্তর সহ সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক বলেন, হল এখনও হস্তান্তর হয়নি, কেননা অনেক ফার্নিচার তারা ঠিকমতো দেয়নি। আমি একটি বড় কমিটি করে দিয়েছি। প্রভোস্ট, চিফ ইঞ্জিনিয়ারসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষকও রয়েছেন কমিটিতে। কমিটি সব বুঝে নেবে। যেন পরে বলতে না পারে যে এইটা খারাপ, ওইটা খারাপ। এখন একদম যেগুলো নষ্ট, সেগুলো ক্লিয়ার করে বুঝে নেবে। স্টুডেন্ট ওঠার আগেই সব বুঝে নেবেন প্রভোস্ট, যেন দ্বিতীয়বার আর ঝামেলা না হয়।

শিক্ষার্থীদের হলে ওঠার ব্যাপারে উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় না খুললে তো আর শিক্ষার্থীরা হলে উঠতে পারবে না। বিশ্ববিদ্যালয় খুললে শিক্ষার্থী তুলার প্রশ্ন। আগে আমরা হল বুঝে নেই। বুঝে নেওয়ার পর সিট বণ্টনসহ আরও আনুষাঙ্গিক বিষয়গুলো দেখবো।

উল্লেখ্য, প্রায় ১০ বছর পর নির্মাণকাজ শেষে উদ্বোধন হলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে এখনও হলে উঠতে পারছেন না শিক্ষার্থীরা।

সারাবাংলা/এএম

জবি টপ নিউজ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর