Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ভুঁইফোড় সংগঠনের সভাপতি দর্জি মনির কারাগারে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৯ আগস্ট ২০২১ ২১:৩৫

দর্জি মনির, ফাইল ছবি

ঢাকা: আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে গড়ে তোলা ভুঁইফোড় সংগঠন ‘বাংলাদেশ জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদ’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. মনির খান ওরফে দর্জি মনিরের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৯ আগস্ট) চার দিনের রিমান্ড শেষে আসামি দর্জি মনিরকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক (নি.) মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিকেলে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাকী বিল্লাহ আদালত এই আদেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

এ সময় আসামি পক্ষের আইনজীবী আমানুল করীম লিটন আসামি জামিন চেয়ে শুনানি করেন। এর আগে গত ৩ আগস্ট দর্জি মনিরের বিরুদ্ধে কামরাঙ্গীরচর থানায় ঈসমাইল হোসেন নামে এক ব্যক্তি মামলা দায়ের করেন। গত ৪ আগস্ট আসামি দর্জি মনিরকে চারদিনের মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছবি বসিয়ে চাঁদাবাজি করতেন দর্জি মনির

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ছোট দর্জির দোকানের চাকরি করতেন মনির। হঠাৎ করে তিনি নিজেকে রাজনৈতিক নেতা হিসেবে পরিচয় দিতে শুরু করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আইডির মাধ্যমে তার অনেক বন্ধু হয়। তিনি একেক সময়ে একেক রাজনৈতিক পদবী, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের এমডি হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেয়। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ প্রধানমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ছাড়াও আরও অনেক মন্ত্রী-এমপিদের সঙ্গে নিজের ছবি কম্পিউটার সফটওয়্যার মাধ্যমে এডিট করে বসিয়ে নিজেকে বাংলাদেশ জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি পদের নাম ব্যবহার করেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি এবং তার সহযোগীরা ঢাকা মহানগরীতে এবং বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় কমিটি দেওয়ার নাম করে অনেকের কাছ থেকে টাকা নেয়। তিনি তার ভুঁইফোড় সংগঠনের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় এবং রাজনৈতিক প্রধানের নাম করে টাকা আদায়, বিভিন্ন চাকরি দেওয়া এবং পদায়নের জন্য অনেক লোকজনের কাছ থেকে টাকা আদায় করেছেন।

গত ৩০ জুলাই দুপুর আড়াইটার দিকে কামরাঙ্গীরচর থানার মাদবর বাজার ৫৭ নং ওয়ার্ডে তার সংগঠনের পদ প্রদানের ও বিভিন্ন বড় বড় নেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক করে দেওয়ার নাম করে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তিনি ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে ছবি এডিট করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে নিজের ছবি বসিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেই ছবি এবং বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য প্রচার করে সাধারণ মানুষদের ঠকানোর উদ্দেশ্য তাদের মধ্যে বিশ্বাস স্থাপন করে  যে, তিনি এক বিরাট নেতা। যার ফলে সাধারণ জনগণের মধ্যে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার উপক্রম হয়।

সারাবাংলা/এআই/এনএস

দর্জি মনির দর্জি মনির কারাগারে

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর