গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে ৭ সন্তানের জনককে গ্রেফতার
১০ আগস্ট ২০২১ ১৪:১০
সুনামগঞ্জ: জেলার তাহিরপুর উপজেলায় গৃহবধূকে বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগে উঠেছে সাত সন্তানের জনক মঞ্জুরুল হকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী উপজেলার ৫নং বাদাঘাট ইউনিয়নের লামাশ্রম গ্রামের মহিবুল ইসলাম বাদী হয়ে মঞ্জুরুল হককে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা দায়েরের পর সোমবার (৯ আগস্ট) মধ্যরাতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) তাহিরপুর থানার বাদাঘাট পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই মোহাম্মদ জয়নাল আবেদিনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে উপজেলার লামাশ্রম গ্রামের বাড়ি থেকে আসামি মঞ্জুরুল হককে গ্রেফতার করে।
জানা গেছে, পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন মঞ্জুরুল হক। এ সময় এক প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত মঞ্জুরুল হক উপজেলার ৫নং বাদাঘাট ইউনিয়নের লামাশ্রম গ্রামের মৃত রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে।
উপজেলার ৫নং বাদাঘাট ইউনিয়নের লামাশ্রম গ্রামে গত রোববার এ ঘটনা ঘটে। মামলা সুত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী মহিবুল ইসলাম পেশায় একজন সিএনজি চালক। গত রোববার রাত দেড়টায় মহিবুলের পূর্ব পরিচিত একই ইউনিয়নের জাঙ্গালহাটি গ্রামের হাফিল উদ্দিন ফোন করে তাকে সুনামগঞ্জ থেকে নিয়ে আসার জন্য বলেন। ফোন পেয়ে তিনি তার স্ত্রী ও ছোট বোনকে বাড়িতে রেখে হাফিল উদ্দিনকে অনতে সুনামগঞ্জে যায়।
এদিকে ভোর রাতে মহিবুলের স্ত্রী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বাহিরে বের হলে আগে থেকে ওত পেতে থাকা মঞ্জুরুল হক তাকে ঝাপটে ধরে ঘরের ভিতর নিয়ে গিয়ে মুখে কাপড় ঢুকিয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
পরে মহিবুল যাত্রী নিয়ে পাশ্ববর্তী বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ধনপুরে আসলে তার স্ত্রী তাকে ফোন করে ধর্ষণের ঘটনা জানায়।
তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ তরফদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ভুক্তভোগীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার আসামি মঞ্জুরুল হককে কারাগারে পাঠানো হবে।
সারাবাংলা/এনএস