গ্রামে টেলিটকের ৫জি সেবাসহ ১০ প্রকল্প অনুমোদন
১০ আগস্ট ২০২১ ১৪:৪১
ঢাকা: গ্রাম পর্যায়ে টেলিটকের ৫জি সেবা নেটওর্য়াকসহ ১০ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৭ হাজার ৯৮৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৬ হাজার ৬৬০ কোটি ২৯ লাখ টাকা, বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ১৩৭ কোটি ৯ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক ঋণ থেকে ১ হাজার ১৮৮ কোটি টাকা।
মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রকল্পগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিফ্রিং করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, ‘যেহেতু মোবাইল কোম্পানি প্রায় সবগুলোই বেসরকারি খাতে, সেখানে মাত্র একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই টেলিটকে কলরেটও অনেক কম। জনস্বার্থে লস দিয়ে হলেও সরকার এটা পরিচালনা করেছে। সবকিছু বেসরকারি খাতের উপর ছেড়ে দিলে হয় না। তাই গ্রামপর্যায়ে টেলিটকের ৫জি সেবা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
‘গ্রামপর্যায়ে টেলিটকের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং ৫জি সেবা দিতে নেটওয়ার্ক আধুনিকায়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ২০৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।
একনেকে অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে- জরাজীর্ণ, অপ্রশস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট বিদ্যমান বেইলি ও অন্যান্য ঝুঁকিপুর্ণ সেতু প্রতিস্থাপন। এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৬১ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।
বাগেরহাট-রামপাল-মোংলা জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৬৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।
দেশি-বিদেশি উৎস থেকে মুক্তিযুদ্ধের অডিও ভিজ্যুয়াল দলিল সংগ্রহ ও সংরক্ষণ এবং বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৬২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। চর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট প্রজেক্ট-৪ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১০৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।
ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৯০ কোটি টাকা। পল্লী জীবিকায়ন প্রকল্প তৃতীয় পর্যায় প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৯২৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। কুড়িগ্রাম জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত দুধকুমার নদী ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৯২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।
এছাড়া উপকূলীয় চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৯ লাখ ৯ লাখ টাকা। শেখ হাসিনা সোলার পার্ক, পামালপুর এ মাদারগঞ্জ ১০০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৫১১ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন- ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য মামুন-আল-রশীদ, আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম এবং আইএমইডির সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী।
সারাবাংলা/জেজে/এমও