অধ্যক্ষ মিন্টু বর্মণ হত্যার দায় স্বীকার ২ জনের, এক জন রিমান্ডে
১০ আগস্ট ২০২১ ২০:১২
ঢাকা: সাভার রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মণকে হত্যার দায় আদালতে স্বীকার করেছেন দু’জন। অধ্যক্ষের খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আরেক আসামি দোষ স্বীকার না করলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুজ্জামান সিকদারের আদালতে বাদশা এবং আরেক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব হাসান আসামি রবিউলের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে তাদের দু’জনকে কারাগারে পাঠানো হয়।
একই দিনে ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী আশরাফুজ্জামান আসামি মোতালেব হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে, মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিলন ফকির তিন আসামিকে আদালতে হাজির করেন। এদের মধ্যে সাভার রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অংশীদার রবিউল ইসলাম ও তার ভাগ্নে বাদশা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড এবং মোতালেব হোসেনের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
গত ১৩ জুলাই থেকে সাভার রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মণ নিখোঁজ ছিলেন। তাকে খুঁজে না পেয়ে গত ২২ জুলাই তার ছোট ভাই রিপন চন্দ্র বর্মন আশুলিয়া থানায় একটি জিডি করেন। মিন্টু চন্দ্র বর্মণের সঙ্গে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির অংশীদার রবিউল ও মোতালেব ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে ছিলেন।
গত ৮ আগস্ট রবিউলকে রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর থেকে আটক করে র্যাব। পরে জিজ্ঞাসাবাদে রবিউল জানান, গত ১৩ জুলাই রাতে রবিউল ও তার ভাগনে বাদশা অধ্যক্ষকে হত্যা করেছেন। স্কুলে সান্ধ্যাকালীন কোচিং শেষে রাত ৯টায় রবিউল ও তার ভাগনে বাদশা অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মণকে স্কুলের ৬ নম্বর কক্ষে ডেকে নেন। প্রথমে বাদশা তার মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করেন। পরে দু’জন মিলে মিন্টু চন্দ্রকে ছয় টুকরা করে পাঁচ টুকরা স্কুলের ভেতরেরই মাটি চাপা দেন। আরেকটি অংশ পলিথিনে মুড়ে রাজধানীর আশকোনাতে একটি ডোবায় ফেলে দেন।
সারাবাংলা/এআই/টিআর