ঢিমেতালে চলছে শিক্ষক নিয়োগের কাজ
১১ আগস্ট ২০২১ ০৮:৫৯
ঢাকা: গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগ পাওয়া ৩৮ হাজার ২৮৬ জন শিক্ষকের নিয়োগ প্রক্রিয়া বেশ ঢিমেতালেই চলছে। জুলাই মাসে নিয়োগের ঘোষণা এলেও নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রাথমিক কাজ শেষ হয়েছে মাত্র এই সপ্তাহে। এখন চলছে পুলিশ সত্যায়নের কাজ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) গণবিজ্ঞপ্তি থেকে যারা নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন তাদের সব তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শুরু করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এখন থেকে প্রতিদিনই কাজটি করবে পুলিশ। করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যেও যতটাসম্ভব কাজ এগিয়ে রাখা হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) বিভাগ জানাচ্ছে, এনটিআরসিএ থেকে পাঠানো সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীদের তালিকা পুলিশ সত্যায়নের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। তাদের অংশের কাজুটুকু শেষ হলেই শিক্ষা মন্ত্রণালয় নিয়োগ সংক্রান্ত পরবর্তী কাজে হাত দিবে।
মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, একটি নিয়োগ প্রক্রিয়ার বেশ কয়েকটি ধাপ থাকে। এই নিয়োগের শুরুর কাজগুলো শেষ হয়েছে। এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের কাজগুলো করছে। তারা কাজ শেষ করে দেওয়ার পর আমরা বাকি কাজ করব। নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুতই শেষ হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুলিশ সত্যায়নে মূলত দেখা হয় সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থী কোনো ফৌজদারি অপরাধ বা রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকাণ্ডে জড়িত কি না। এ ধরনের কোনো অপরাধে প্রার্থী জড়িত না থাকলে পুলিশ তাকে নিয়োগ দিতে বলে দেয়। এছাড়াও প্রার্থী সম্পর্কে স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকেও তথ্য নেওয়া হয়। এবারের সত্যায়নে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রার্থীর কর্মকাণ্ডও বেশ গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
এনটিআরসিএ বলছে, যাদের নামে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা রয়েছে, ফৌজদারি আদালতে যারা প্রমাণিত আসামি তাদের চাকরি হবে না। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যারা দেশবিরোধী চক্রের সঙ্গে জড়িত এবং এসব মতে সহমত পোষণ করেন, তাদের নিয়োগও আটাকনো হবে। এজন্য পুলিশ সত্যায়ন শেষ হওয়ার পরই চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করবে এনটিআরসিএ।
এর আগে, গত জুলাই ১৫ শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির ফল প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। ৫৪ হাজারের বেশি শূন্য পদের বিপরীতে মাত্র ৩৮ হাজার ২৮৬ জনকে নিয়োগ দিতে সুপারিশ করা হয়। এর মধ্যে ৩৪ হাজার ৬১০ জনকে এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে এবং ৩ হাজার ৬৭৬ জনকে নন-এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেওয়া হবে।
সারাবাংলা/টিএস/টিআর