Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আমন রোপণ নিয়ে শঙ্কা নেই

এমদাদুল হক তুহিন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১১ আগস্ট ২০২১ ০৮:৩১

ঢাকা: পুরোদমে এগিয়ে চলছে আমনের রোপণের কাজ। কৃষক ও শ্রমিকরা মাঠে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউ জমি তৈরিতে, কেউ রোপণ কাজে ব্যস্ত। এরই মধ্যে দেশের ৫৫ ভাগ জমিতে আমন রোপণের কাজ শেষ হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বলছে, আগস্টের প্রথম দিকে বৃষ্টি না হওয়ায় রোপণ কাজে কিছুটা বিঘ্ন ঘটেছিল। তবে এখন আর সেই সমস্যা নেই। বৃষ্টি হওয়ায় বেশিরভাগ জমিতেই এখন পর্যাপ্ত পানি রয়েছে। তাই মৌসুমটিতে রোপন কার্যক্রম নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই।

বিজ্ঞাপন

জানতে চাইলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ সারাবাংলাকে বলেন, যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে তাতে আমন রোপণে কোনো সমস্যা হবে না। এখন পর্যন্ত ৫৫ শতাংশ জমির রোপণ কাজ শেষ হয়েছে। গত বছরের এই দিন পর্যন্ত যে পরিমাণ জমিতে আমন রোপণ হয়েছিল, এই মৌসুমের আজকের দিনে তার চেয়ে ১ লাখ ১৫ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে রোপণ শেষ হয়েছে। বৃষ্টির অভাবে উত্তরবঙ্গে আমন রোপণে কিছুটা সমস্যা হয়েছিল। সেই সমস্যাও কেটে গেছে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, আগস্ট মাস আমন রোপণের জন্য ভালো সময়। আগস্ট মাসজুড়েই রোপণের কাজ চলবে। কিছু জাত রয়েছে যেগুলো দেরিতে ফলন দেয়। সেগুলো সেপ্টেম্বরে রোপণ করা হবে। অর্থাৎ নিচু স্থানের পানি নেমে গেলে সেখানে স্থানীয় জাতের আমন রোপণ করা হবে। ফলে আমন রোপণের কাজে বিঘ্ন হওয়ার কোনো শঙ্কা নেই।

মো. আসাদুল্লাহ আরও বলেন, হাইব্রিড কিংবা যেসব জাতে বেশি ফলন হয়, এবার আমরা সেসব জাতে বেশি করে প্রণোদনা দিচ্ছি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য বলছে, এ বছর আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ৫৫ লাখ ৭৭ হাজার হেক্টর জমিতে। আর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ১ কোটি ৪৭ লাখ ৫২ হাজার ২২০ টন। মৌসুমটিতে এখন পর্যন্ত আমনের আবাদ হয়েছে ৩০ লাখ ৭৭ হাজার ৮১৩ হেক্টর জমিতে। ৫৫ শতাংশ জমিতে এখন পর্যন্ত আমন রোপণ সম্পন্ন হয়েছে।

এদিকে, এ বছর আমনের বীজতলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ৯১ হাজার ৭৭০ হেক্টর। বীজতলা তৈরি হয়েছে ৩ লাখ ২৩ হাজার ৯১২ হেক্টর জমিতে। বীজতলা তৈরিতে অগ্রগতির হার ১১১ শতাংশ।

আমনের রোপণ কেমন চলছে— জানতে চাইলে ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার কৃষক মোস্তফা সারাবাংলাকে বলেন, আমাদের এলাকায় এখন পুরোদমে আমন রোপণের কার্যক্রম চলছে। এরই মধ্যে অর্ধেকের বেশি জমির রোপণ শেষ হয়েছে। তবে হাঠৎ বৃষ্টিতে নিচুর জমির ধান নষ্ট হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, রোপণের পর তিন থেকে চার দিন পানির নিচে ছিল। সেখানে আবার রোপণ করতে হবে। আর কিছু দিন আগের পানির সমস্যা থাকলেও এখন পানির সমস্যা নেই। বৃষ্টি হওয়ায় সব ক্ষেতেই প্রচুর পানি রয়েছে।

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিায় উপজেলার হরশি গ্রামের কৃষক হিমেল সারাবাংলাকে বলেন, আমনের রোপণ শেষ পর্যায়ে। এবার তেমন বৃষ্টি-বাদল ছিল না। তবে গত কয়েকদিন বেশ বৃষ্টি হওয়ায় কিছু জমিতে বেশ পানি রয়েছে। আমরা আউশ কেটে আমন রোপণ করেছি। আউশের ফলন বেশ ভালো হয়েছে। ধান ৯৫০ থেকে ১ হাজার টাকা মণে বিক্রি হচ্ছে।

সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর

আমন রোপণ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর