ঢাকা: ইতিহাসকে সঠিক ও তথ্যনির্ভর করার জন্য জিয়াউর রহমানসহ বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পেছনে থাকা সকল খুনিদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। একইসঙ্গে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের রায় কার্যকর করারও দাবি করেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মো. ডা. মুরাদ হাসান।
বুধবার (১১ আগস্ট) জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতর আয়োজিত চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় হাছান মাহমুদ বলেন, ইতিহাসকে সঠিক ও তথ্যনির্ভর করার জন্য জিয়াউর রহমানসহ বঙ্গবন্ধুর খুনের পেছনে থাকা খুনিদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে। না হলে ইতিহাসের সঠিক তথ্য সামনে আসবে না।
তিনি বলেন, প্রদর্শনীতে নিয়ে আসা আলোকচিত্রগুলো সম্পর্কে সবাই জানে না। সবার দেখার সুযোগ হয় না। সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও প্রচুর মানুষ আসে, তারাও এ প্রদর্শনী দেখতে পাবেন। এছাড়াও দেশে সাত কোটি মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে। তাদের কাছে পৌঁছাতে এটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রদর্শন করা হবে। এটি খুব ভালো উদ্যোগ।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই রাষ্ট্র রচনা করে গেছেন। বাঙালি জাতি সত্তার উন্মেষ ঘটেছে দুই হাজার বছর আগে। যদিও এ নিয়ে নানা মতভেদ রয়েছে। সুতরাং বাঙালি জাতি সত্তা উন্মেষের পর অনেক বাঙালি রাজা থাকলেও স্বাধীন ছিল না। বঙ্গবন্ধু ঘুমন্ত জাতিকে জাগিয়ে তুলেছিলেন। তার ডাকে সাড়া দিয়ে প্রাণের মায়া ত্যাগ করে মানুষ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।
তিনি আরও বলেন, এখনো স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি রয়েছে। তাদের পৃষ্ঠপোষকতা দেয় বিএনপি নামে একটা বড় রাজনৈতিক দল। যারা স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিকামী মানুষের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছে। তারা এখনো এদেশে রাজনীতি করে। বঙ্গবন্ধু ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছিলেন। কিন্তু জিয়াউর রহমান তাদের সামনে নিয়ে এসেছেন। যুদ্ধাপরাধীদের পূনর্বাসিত করেছিলেন।
এ সময় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মো. ডা. মুরাদ হাসান বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের রায় কার্যকর করতে হবে। যারা এই হত্যার পেছনে ছিল, মাস্টার মাইন্ড ছিল। এই খুনের নেপথ্যে জিয়াউর রহমান ছিলেন। সে ষড়যন্ত্র আজো চলছে। এই খুনিদের মরোণোত্তর বিচার এই বাংলার মাটিতে করতে হবে। বাংলার মানুষ খুনিদের বিচার এ মাটিতে দেখতে চায়।