রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্বব্যাংকের প্রস্তাব প্রত্যাখান
১১ আগস্ট ২০২১ ২২:০৩
ঢাকা: অবশেষে রোহিঙ্গাদের বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের প্রস্তাব প্রত্যাখান করে চিঠি দিয়েছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)। এর আগে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে ইআরডিকে চিঠি দেয়। সেখানে বলা হয়েছিল, বিশ্বব্যাংকের এ প্রস্তাব মেনে নিয়ে সংস্থাটি থেকে ঋণ নিলে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর বদলে তাদের বাংলাদেশেই চিরতরে রেখে দেওয়া হতে পারে। এজন্য ওই প্রস্তাবের পরিবর্তন না হলে উদ্বাস্তু সংক্রান্ত কোনো অর্থ সংস্থাটির কাছ থেকে নেওয়া যাবে না।
বুধবার (১১ আগস্ট) রিফিউজি পলিসি রিভিউ ফ্রেমওয়ার্কের বেশকিছু বিষয়ের বিপক্ষে মত দেয় ইআরডি। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
ইআরডি সূত্র জানায়, বিশ্বব্যাংকের দেওয়া রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের অবাধ কাজকর্ম করা এবং স্থানীয় জনগণের সঙ্গে অন্তর্ভুক্তির পরোক্ষ প্রস্তাব আসে এই রিফিউজি পলিসি ফ্রেমওয়ার্কে। কিন্তু তারপরও ফ্রেমওয়ার্কের যেসব বিষয়ের পক্ষে মতামত দিলে রোহিঙ্গাদের স্থাণীয় জনগণের সঙ্গে অন্তর্ভুক্তির সুযোগ সৃষ্টি হতো সেগুলোর বিরোধিতা করেই মত দিয়েছে ইআরডি।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশের মত দেওয়ার শেষ সময় ছিল ৩১ জুলাই পর্যন্ত। এরই মধ্যে ইআরডি থেকে ১০দিন সময় বাড়িয়ে নেওয়া হয়। সে পরিপ্রেক্ষিতে ১০ আগস্ট সময় শেষ হলে বুধবার বিকেলে মতামত পাঠানো হয়েছে।
এর আগে দু’দফায় বিবৃতি দেয় বিশ্বব্যাংক। গত ২ আগস্ট বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, প্রস্তাবিত শরণার্থী নীতি পর্যালোচনা কাঠামোটি শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, এটি একটি বৈশ্বিক দলিল। এই ‘রিফিউজি পলিসি রিভিউ ফ্রেমওয়ার্কের লক্ষ্য হল বিশ্বব্যাপী শরণার্থী আশ্রয়দাতা দেশগুলোর প্রতি বিশ্বব্যাংকের সহায়তার কার্যকারিতা মূল্যায়ন করা। যাতে পরিস্থিতি ভালোভাবে পরিচালনার জন্য প্রাসঙ্গিক নীতি ও প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করা যায়।
এছাড়া, গত ৩ আগস্ট বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের ওয়েবসাইটে নতুন আরও একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। সেখানে বলা হয়, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর চাহিদা মোকাবিলায় তাদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছায় মিয়ানমারে ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত সহায়তা করছে। আশ্রয় দেওয়া জনগোষ্ঠীর ওপর এর প্রভাব কমাতে বিশ্বব্যাংকও বাংলাদেশকে সহায়তা করছে।
সারাবাংলা/জেজে/পিটিএম