চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রাম নগরীতে নিয়ম ভেঙে বাসায় করোনার ভ্যাকসিন গ্রহণের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেফতার দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একদিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি পেয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) নগরীর খুলশী থানা পুলিশের রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানি শেষে চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হোসেন মো. রেজা এ আদেশ দিয়েছেন।
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীনুজ্জামান সারাবাংলাকে বলেন, ‘গ্রেফতার দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছিল। শুনানি শেষে আদালত একদিন মঞ্জুর করেছেন।’
দুই আসামি হলেন নগরীর জাকির হোসেন সড়কের বাসিন্দা মো. হাসান (৩৫) ও তার বন্ধু মোবারক আলী (৩৩)।
তৃণমূল পর্যায়ে গণটিকাদান কর্মসূচি চলাকালে ৭ আগস্ট নগরীর খুলশী থানার জাকির হোসেন রোডে একটি বাসায় বেআইনিভাবে ভ্যাকসিন নেওয়ার ঘটনা ঘটে। পরদিন ভ্যাকসিন গ্রহীতা একজন নিজেই ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশ করেন। এরপর পুলিশ অভিযানে নেমে গ্রেফতার করে দু’জনকে।
এ ঘটনায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তপন কুমার চক্রবর্তী বাদী হয়ে ‘সরকারি টিকা আত্মসাৎ করে অবৈধভাবে ব্যবহারের অভিযোগে’ দণ্ডবিধির ৩৭৯, ৪০৬ ও ৪২০ ধারায় চারজনকে আসামি করে খুলশী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ভ্যাকসিনগ্রহীতা হাসান ও সাজ্জাদ, তাদের সহায়তাকারী মোবারক এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মরত ল্যাব টেকনিশিয়ান যীশু দত্তকে আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে— হাসান ও মোবারক আলী পরস্পরের বন্ধু। মোবারক আলী তার পূর্বপরিচিত যীশুকে বাসায় নিয়ে অবৈধভাবে ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য ঠিক করেন। প্রতি ডোজ ভ্যাকসিন এক হাজার টাকার বিনিময়ে যীশু নগরীর জাকির হোসেন রোডে মোবারক আলীর বাসায় গিয়ে হাসান ও সাজ্জাদকে ভ্যাকসিন দেন।
অভিযুক্ত যীশু দত্তকে (৩৫) চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। তিনি গণটিকা কর্মসূচির আওতায় চসিকের অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্র নগরীর উত্তর কাট্টলী মোস্তফা হাকিম ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে ‘কোভিড ভ্যাকসিন’ প্রদান কার্যক্রমে দায়িত্বরত ছিলেন। তবে পুলিশ এখনও যীশুকে গ্রেফতার করতে পারেনি।