‘বঙ্গমাতাই ছিলেন খোকা থেকে বঙ্গবন্ধু বানানোর নেপথ্যের কারিগর’
১৩ আগস্ট ২০২১ ০০:২৯
ঢাকা: শিক্ষামন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি বলেছেন, আগে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবকে জানার তেমন চর্চাই ছিল না। অথচ খোকা থেকে বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠার সব সংগ্রামের নেপথ্যে যিনি ভূমিকা রেখেছিলেন তিনি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।
শিক্ষামন্ত্রী বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বাংলার মহিয়সী নারী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে অসহায় প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব সাফিয়া খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া।
অনুষ্ঠানে ডা. দীপু মনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু তার জীবনের ৪০ ভাগ সময় জেলে, ৪৮ ভাগ সময় সাংগঠনিক কাজে এবং মাত্র ১২ ভাগ সময় পরিবারে কাটিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে সংসার চালিয়েছেন বঙ্গমাতা। বঙ্গবন্ধুর মামলা চালিয়েছেন, পাশাপাশি পুরো আওয়ামীলীগই ছিল বঙ্গমাতার পরিবার। ইতিহাসের খুব গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বঙ্গমাতার ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার ঘটনাকে সামাজিকভাবে বৈধতা দেওয়ার জন্য দশকের পর দশক অপ্রপ্রচার চালানো হয়েছিল। ঘাতকেরা জানতো, বঙ্গবন্ধু কোন ব্যক্তি নয়, একটি আদর্শ। তারা এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে শুধু সরকার পতনই নয়, বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের চরিত্রকে পাল্টে ফেলার চেষ্টা করেছিল। তারা বাংলাদেশকে পাকিস্তানি স্টাইলের একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র বানাতে চেয়েছিল। তাই তারা বঙ্গবন্ধুকে নির্বংশ করতে চেয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘ঘাতকদের সব ষড়যন্ত্রকে মিথ্যা প্রমাণ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশকে সারাবিশ্বে উন্নয়নের মডেল হিসেবে পরিচিত করিয়েছেন।’
অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সব অর্জনের প্রেরণাদায়ী ছিলেন বঙ্গমাতা। আড়ালে থেকে বঙ্গবন্ধুকে সৎ পরামর্শ দিতেন তিনি। বঙ্গমাতার পরামর্শেই বঙ্গবন্ধু তার ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে অনেক আগেই বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হতো। বঙ্গবন্ধুর মতো তার কন্যাও এ দেশটাকে ভালোবাসেন। তাই বাংলাদেশ আজ ধীরে ধীরে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।’
বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, ‘বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব যদি জেল খানায় কিছু কাগজ ও কলম না দিতেন তাহলে আমরা আজ বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পেতাম না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা জানি বঙ্গবন্ধুর সময় দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল, যা সত্য নয়। বিশ্বব্যাংকের হিসেব অনুযায়ী ওই সময় দেশের জিডিপি ছিল ৯ শতাংশ, যা আমরা এখনও অর্জন করতে পারিনি।’ বঙ্গবন্ধুর তৃতীয় প্রজন্ম আজ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও হাউজ অব কমন্সে রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
সারাবাংলা/টিএস/পিটিএম