কাবুলে অতিরিক্ত সেনা পাঠাচ্ছে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র
১৩ আগস্ট ২০২১ ১৩:১৩
আফগানিস্তানে অবস্থানরত ব্রিটিশ ও আমেরিকান নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাবুলে সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই দেশ। এ সিদ্ধান্ত এমন দিন নেওয়া হলো, যখন উগ্রবাদী গোষ্ঠী তালেবানের হাতে হেরাত ও গজনির পতন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, কাবুলে ৬০০ সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেনারা ওই দেশে অবস্থানরত ব্রিটিশ নাগরিকদের নিরাপদে যুক্তরাজ্যে ফিরে আসতে সহায়তা করবে।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস এক বিবৃতিতে বলেন, অতিরিক্ত সেনারা কাবুলে ব্রিটেনের কূটনীতিকদের সহায়তা করবে, এবং ব্রিটিশ নাগরিকদের নিরাপদে দেশটি ছাড়ার ব্যবস্থা করবে। এছাড়া যেসব আফগান নাগরিক এতদিন ব্রিটিশ সেনাদের সহায়তা করেছে তাদের রক্ষায়ও কাজ করবে।
একইদিন ওয়াশিংটন জানিয়েছে, কাবুলে অবস্থিতি মার্কিন দূতাবাস থেকে কূটনীতিকদের সরিয়ে আনতে অতিরিক্ত সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি জানান, কাবুলে অতিরিক্ত ৩ হাজার সেনা পাঠানো হবে। কাবুলে থাকা সাড়ে ছয়শ মার্কিন সেনার সঙ্গে যোগ দেবে তারা।
এদিকে আফগানিস্তানে তালেবানের দখল অব্যহত রয়েছে। শেষ খবরে জানা গেছে, দেশটির হেলমান্দ প্রদেশের রাজধানী লস্করগাহ এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর কান্দাহার দখল করে নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে তালেবান।
বৃহস্পতিবার মাত্র একদিনে গজনি, হেরাত ও কালা-ই-নাউ শহর দখল করে তালেবান। আফগানিস্তানের ৩৪টি প্রদেশের ১৪টির রাজধানী ইতিমধ্যে তালেবানের দখলে।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনীর কাছে পরাজিত হওয়ার পর পুনরায় কঠোর শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই শুরু করে তালেবান। দীর্ঘ ২০ বছর পর বিদেশি সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করার পর ফের দেশ দখলের মরিয়া প্রচেষ্টা শুরু করেছে তালেবানরা।
সারাবাংলা/আইই