দূর্গাপুরে সামুদ্রিক গাঙচিল উদ্ধার
১৪ আগস্ট ২০২১ ১৪:৪০
নেত্রকোনা: সামুদ্রিক একটি গাঙচিলকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেছে নেত্রকোনার দূর্গাপুরের বন্যপ্রাণি রক্ষাকারী সংগঠন ‘সেভ দ্যা এনিমেল অব সুসং’। উপজেলার পৌরসভার শিবগঞ্জ এলাকার একটি বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় পাখিটিকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরে টানা বর্ষণে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বেড়েছে সোমেশ্বরী নদীর পানি। বুধবার রাতে নদীর পানিতে ডিঙ্গি নৌকা দিয়ে লাকড়ি সংগ্রহ করতে গিয়ে পাখিটিকে পানিতে ভেসে আসতে দেখেন এক ব্যক্তি (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক)। রাতেই তীব্র স্রোত কাটিয়ে পাখিটি উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যান তিনি।
পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় খোকন মুন্সি নামের একজনকে নিয়ে তিনি পাখিটিকে বিক্রি করতে দুর্গাপুরে বাজারে আসেন। শহরের তেরি বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে পাখিটিকে নিয়ে ঘোরাঘুরির এক পর্যায়ে স্থানীয় পরিবেশ ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেভ দ্যা এনিমেলস অফ সুসং সদস্যদের সামনে পড়েন বিক্রেতারা। এসময় তাদের জেরার মুখে তাৎক্ষণিক পাখি নিয়ে পালিয়ে যান। পরে স্বেচ্ছাসেবকরা স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি অবগত করলে পাখি উদ্ধারে অভিযান শুরু হয়।
এদিকে পাখিটিকে নিয়ে সোমেশ্বরী নদী পার হওয়ার সময় পৌর শহরের ৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাশিদ মন্ডলের কাছে ১ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করে গা ঢাকা দেন পাখি বিক্রেতা। স্থানীয় কাউন্সিলর বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবকদের ফোন করে পাখিটি তার হেফাজতে রয়েছে বলে জানান তিনি। পরবর্তীতে প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবকরা পাখিটিকে উদ্ধার করে।
‘সেভ দ্য এনিমেলস অফ সুসং’ সংগঠনের সভাপতি রিফাত আহমেদ রাসেল জানান, কালো মাথার এই গাঙচিল পাখিটি নিয়ে বিক্রেতা বাজারে ঘোরাঘুরির খবর শুনতে পেরে আমরা তাৎক্ষণিক পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে খোঁজ শুরু করি। একপর্যায়ে আমরা পাখিটিকে দেখতে পেলে বিক্রেতা কৌশলে অপর আরেক ব্যক্তিকে দিয়ে এটি অন্য স্থানে পাঠিয়ে দেন। পরে আমরা বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও দূর্গাপুর থানার ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করলে পাখি উদ্ধারের জন্য তারা উদ্যোগ গ্রহণ করেন। পরে স্থানীয় কাউন্সিলরের বাড়ি থেকে পাখিটি উদ্ধার করা হয়।
পাখিটির বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং পাখিটি দাঁড়াতে পারছে না। সুস্থ হলে পাখিটিকে যথাযথ স্থানে অবমুক্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।
সারাবাংলা/এমও