ঢাকা: সরকার হটানোর আন্দোলনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম।
শনিবার (১৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে ঢাকা মহানগর বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির প্রথম সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
আব্দুস সালাম বলেন, ‘যে অবস্থায় আমরা দায়িত্ব নিয়েছি এটা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এই দায়িত্ব বুঝে-শুনে দিয়েছেন। আপনারা দলকে ঐক্যবদ্ধ করবেন, দলকে আন্দোলনের দিকে নিয়ে যাবেন, দলের ওপরে যে নিপীড়ন-নির্যাতন হয়েছে, এটা থেকে বের হয়ে আসার জন্য রাজপথে আন্দোলন গড়ে তুলতে উনি (তারেক রহমান) আমাদের দায়িত্ব দিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ঈমানের সঙ্গে এই দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করব। আমরা সবাই বিএনপি করি, আমরা সবাই তারেক রহমানের কর্মী, আমরা সবাই খালেদা জিয়ার কর্মী, আমরা সবাই জিয়াউর রহমানের কর্মী। আমরা কোনো গ্রুপিংয়ে বিশ্বাস করব না। আমরা কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে চাই না। আমরা ব্যর্থ হলে দল শুধু ব্যর্থ হবে না, সারাদেশে মানুষ ব্যর্থ হবে। সারাদেশের মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। সারাবিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আমাদের নেতাকর্মী-শুভাকাঙ্ক্ষিরা বলছে, ঢাকা মহানগর কী করছে?
সালাম বলেন, ‘চোখ বন্ধ করে আমাদেরকে সংগঠন গোছাতে হবে। যে কাজের লোক, তাকে দায়িত্ব দিতে হবে। আমি আপনাদের সঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করেছি, কখনো কোনো গ্রুপিংয়ে বিশ্বাস করি নাই। আমরা সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু রাজপথে আন্দোলন করে এই পর্যায়ে এসেছে। সেও কিন্তু রাজপথের কর্মীদের মূল্যায়ন করার জন্য এখানে এসেছে। আমরা একমত হয়ে কাজ করব।’
তিনি বলেন, ‘আপনাদের অনুরোধ করব, আপনারা কখনোই কোনো ইস্যুতে সদস্য সচিব এবং আমার মধ্যে কোনো ভুল বোঝা-বুঝি সৃষ্টির চেষ্টা করবেন না। যদি করতে চান, তাহলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশ তাকে আর সেই দায়িত্বে রাখা হবে না। এটা পরিষ্কারভাবে মনে রাখবেন, আমরা একটি টিম হিসেব কাজ করব, সকলকে দায়িত্ব নিতে হবে, সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।’
আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক নবী উল্লাহ নবী, ইউনুস মৃধা, মো. মোহন, মোশারফ হোসেন খোকন, আব্দুস সাত্তার, সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, আ ন ম সাইফুল ইসলাম, হারুন উর রশিদ হারুন, লিটন মাহমুদ, এস কে সেকেন্দার কাদির, মনির হোসেন চেয়ারম্যান, সদস্য ফরিদ উদ্দিন, গোলাম হোসেন, ফারুকুল ইসলাম, আরিফুর রহমান নাদিম, আনোয়ার হোসেন বাদল, কে এম জুবায়ের এজাজ, ফরহাদ হোসেন, লতিফুল্লাহ জাফরু, মকবুল হোসেন সরদার, মোহাম্মদ আলী চায়না, আবদুল আজিজ, জামিলুর রহমান নয়ন, হাজী শহিদুল ইসলাম বাবুল, আকবর হোসেন নান্টু, শামছুল হুদা কাজল, এস এম আব্বাস, লোকমান হোসেন ফকির, জুম্মন মিয়া চেয়ারম্যান, ফজলে রুবায়েত পাপ্পু, মহিউদ্দিন চৌধুরী, সাইদুর রহমান মিন্টু, আরিফা সুলতানা রুমা, সাইফুল্লাহ খালেদ রাজন, ওমর নবী বাবু,আবুল খায়ের লিটন, নাসরিন রশিদ পুতুল, নাদিয়া পাঠান পাপন, হাজী নাজিম, জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারী ও জামশেদুল আলম শ্যামল প্রমুখ।