২৪ ঘণ্টায় ১৮৭ মৃত্যু, শনাক্ত ৬৬৮৪
১৫ আগস্ট ২০২১ ১৭:২০
ঢাকা: ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে (কোভিড-১৯) ১৮৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১৭৮। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ৬ হাজার ৬৮৪ জনের শরীরে। আগের দিন সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল ৬ হাজার ৮৮৫ জনের শরীরে।
রোববার (১৫ আগস্ট) অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৭০৯টি ল্যাবে করোনা নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এই সময়ে এসব ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ করা হয় ৩১ হাজার ৪০৩টি। আর আগের দিনেরসহ নমুনা পরীক্ষা করা হয় ৩৩ হাজার একটি। গত ২৪ ঘণ্টার নমুনা পরীক্ষা মিলিয়ে এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসের মোট নমুনা পরীক্ষা হলো ৮৪ লাখ ৮ হাজার ৫২১টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা করা নমুনার ৬ হাজার ৬৮৪টিতে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট সংক্রমণ দাঁড়াল ১৪ লাখ ১৮ হাজার ৯০২টিতে। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণ শনাক্তের হার ২০ দশমিক ২৫ শতাংশ। আর এখন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণ শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
একই সময়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়েছেন ১১ হাজার ৩৭১ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হওয়া ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়াল ১২ লাখ ৯২ হাজার ৬৯৮ জনে। সংক্রমণ বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ১১ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণ নিয়ে যে ১৮৭ জন মারা গেছেন, তাদের নিয়ে দেশে করোনায় মৃত্যু দাঁড়াল ২৪ হাজার ১৭৫ জনে। সংক্রমণ বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭০ শতাংশ। অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃতদের মধ্যে পুরুষ ১০১ জন, নারী ৮৬ জন। তাদের মধ্যে বাসায় ৩ জন, হাসপাতালে আনা অবস্থায় একজন ও বাকি ১৮৩ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণ নিয়ে মৃত ১৮৭ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫৮ জনের বয়স ৬১ থেকে ৭০ বছর, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪০ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছর, তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩৯ জনের বয়স ৭১ থেকে ৮০ বছর। এছাড়া ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ২০ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী ১০ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছর বয়সী ১৪ জন, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী চার জন, ৯১ থেকে ১০০ বছর বয়সী দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী, ১০ বছরের নিচে এবং ১০০ বছরের বেশি কারও মৃত্যু হয়নি।
মৃত এই ১৮৭ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭১ জন ছিলেন ঢাকা বিভাগের, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৯ জন চট্টগ্রাম বিভাগের ও তৃতীয় সর্বোচ্চ ২১ জন খুলনা বিভাগের। এ ছাড়া রাজশাহী বিভাগের ১০ জন, বরিশাল বিভাগের ৮ জন, সিলেট বিভাগের ১৩ জন, রংপুর বিভাগের ১৩ জন এবং ময়মনসিংহের ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সারাবাংলা/এসএসএ