বিপাকে কেন্দ্রে দেরিতে আসা পরীক্ষার্থীরা
২ এপ্রিল ২০১৮ ১১:২৯
।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে সোমবার সারাদেশে শুরু হয়েছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। রাজধানীর পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোতে কেন্দ্রে প্রবেশের মূল গেইট ঠিক সাড়ে নয়টার সময় বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে করে যারা এ সময়ের পরে আসেন তারা পড়েন ভোগান্তিতে।
কয়েকটি কেন্দ্রে যারা নির্দিষ্ট সময়ের পরে পৌঁছেছেন, তাদেরকে প্রথমে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। নাম-পরিচয় তালিকাভুক্ত করে পরে তাদের পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগেই পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষা কক্ষে প্রবেশের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।
রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ কেন্দ্রে সাড়ে ৯টার পরে আসায় বিপত্তিতে পড়েন কয়েকজন শিক্ষার্থী। গেট খুলে দেওয়ার জন্য কান্না-কাটি শুরু করেন তারা। এসময় তাদের সঙ্গে আসা অভিভাবকরাও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। পরে তাদের নাম রেজিস্ট্রেশন করে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাস্তায় যানযটের কারণে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছাতে দেরি হয় তাদের। নির্দিষ্ট সময়ে কেন্দ্রে পৌঁছানোর লক্ষ্যে তারা বাসা থেকে অনেক আগেই বেরিয়ে ছিলেন, কিন্তু রাস্তায় অসহনীয় যানযটের কারণে সাড়ে ৯টার মধ্যে তারা পৌঁছাতে ব্যর্থ হন।
ঢাকা কলেজ, নটরডেম কলেজ, কদমতলা হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ, হলিক্রস কলেজসহ প্রায় সব কেন্দ্রেই নির্দিষ্ট সময়ের পর কেন্দ্রে প্রবেশের মূল ফটক আটকে দেওয়া হয়।
এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন ১৩ লাখ ১১ হাজার ৪৫৭ জন শিক্ষার্থী। গত বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে এক লাখ ২৭ হাজার ৭৭১ জন। দেশের মোট আট হাজার ৯৪৩টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী মোট দুই হাজার ৫৪১টি কেন্দ্রে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। এবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ৭৯টি ও কেন্দ্র বেড়েছে ৪৪টি।
আটটি সাধারণ বোর্ডের অধীনে দশ লাখ ৯২ হাজার ৬০৭ জন, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে আলিমে এক লাখ ১২৭ জন, কারিগরি বোর্ডের অধীনে এইচএসসি বিএম-এ এক লাখ ১৭ হাজার ৭৫৪ জন এবং ডিআইবিএসে ৯৬৯ জন পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছয় লাখ ৯২ হাজার ৭৩০ জন ছাত্র এবং ছয় লাখ ১৮ হাজার ৭২৭ জন ছাত্রী। এবার বিদেশের সাতটি কেন্দ্রে ২৯৯ জন শিক্ষার্থী উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নেবে। এর মধ্যে ১৫৯ জন ছাত্র এবং ১৪০ জন ছাত্রী।
কেবল বাংলা প্রথমপত্র দিয়ে ২০১২ সালে সৃজনশীল পরীক্ষা পদ্ধতির সূচনা হয়। ২০১৫ সাল পর্যন্ত ১৩টি বিষয়ের ২৫টি পত্রে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৭ থেকে মোট ২৮টি বিষয়ে ৫৪টি পত্রে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
সারাবাংলা/এমআইএস/একে