ঢাকা: চট্টগ্রামের একটি হত্যা মামলায় অন্যের হয়ে সাজা ভোগকারী নিরপরাধ মিনুর মুক্তির পর ‘সড়ক দুর্ঘটনায়’ মৃত্যুর পোস্টমর্টেম রিপোর্ট ও সুরতহাল রিপোর্ট তলব করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আগামী ১ সেপ্টেম্বর সংশ্লিষ্ট দুই মামলার যাবতীয় নথি নিয়ে তদন্ত কর্মকর্তাকে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে। এছাড়া মিনুকে সাজা খাটানো কুলসুমীর মামলার যাবতীয় নথিও তলব করেছেন আদালত।
সোমবার (১৬ আগস্ট) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সরোয়ার হোসেন বাপ্পী।
এর আগে মিনুর ‘সড়ক দুর্ঘটনায়’ মারা যাওয়ার ঘটনাটি উচ্চ আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
গত ২৮ জুন রাতে বায়েজিদ সংযোগ সড়ক থেকে দুর্ঘটনায় নিহত এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে তার পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব না হওয়ায় অজ্ঞাত হিসেবে লাশ দাফন করে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম। পরে বায়েজিদ থানার একটি টিম সীতাকুণ্ড এলাকার লোকজনকে ছবি দেখিয়ে মিনুর পরিচয় শনাক্ত করে।
কারাগারের একটি বালাম বই দেখতে গিয়ে নিরপরাধ মিনুর সাজা খাটার বিষয়টি উঠে আসে। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. শফিকুল ইসলাম খান বিষয়টি আদালতের নজরে আনলে এ মামলার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাইকোর্টে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
এর আগে গত ১৬ জুন একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কুলসুম আক্তার কুলসুমীর পরিবর্তে তিন বছরেরও অধিক সময় কারাভোগ শেষে উচ্চ আদালতের নির্দেশে মিনু চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্ত হন। সেসময় প্রকৃত আসামি কুলসুম আক্তার কুলসুমীকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।