কাল্লু-সোহাগ-বিল্লাল চক্রের মাধ্যমে পাচার ২০০ নারী: র্যাব
১৬ আগস্ট ২০২১ ০৮:০০
ঢাকা: আন্তর্জাতিক নারী পাচারকারী চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তাদের একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। এই সিন্ডিকেটের সদস্য ২০ থেকে ২৫ জন। তারা বাংলাদেশ থেকে অন্তত ২০০ জন নারীকে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পাচার করেছে।
সোমবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খোন্দকার আল মঈন এসব তথ্য জানান। গ্রেফতার তিনি জন হলো- কাল্লু (৪০), সোহাগ ওরফে নাগিন সোহাগ (৩২) ও বিল্লাল হোসেন (৪১)।
খোন্দকার আল মঈন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নারী পাচারকারী দলের মূলহোতা কাল্লু জানিয়েছে- সাতক্ষীরা সীমান্ত এলাকায় এই চক্রের সেইফ হাউজ রয়েছে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নারীদের নিয়ে পাচারের উদ্দেশে সেইফ হাউজে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর সেখান থেকে ভারতে পাচার করা হয়। এই সেফ হাউজের সমন্বয় করতো বিল্লাল হোসেন। বিল্লাল ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে এর আগেও মানবপাচার মামলা ছিল এবং তারা জেলও খেটেছে। কাল্লুও জেলে ছিল।’
তিনি বলেন, ‘সোহাগ ওরফে নাগিন সোহাগ ওরফে ভাগিনা সোহাগ নারী পাচার চক্রের সেকেন্ড ইন কমান্ড। এই চক্রটি মিরপুর, তেজগাঁ ও গাজীপুর এলাকায় বেশি সক্রিয়।’
নিজের মেয়েকে পাচারের বিষয়ে রাজধানীর পল্লবী থানায় এক মা অভিযোগ করলেও পুলিশ এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি কেন? সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে র্যাব কর্মকর্তা আল মঈন বলেন, ‘পুলিশ একটি দায়িত্বশীল বাহিনী। তবুও কেন অভিযোগ আমলে নেয়নি- এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ব্যবস্থা নেবেন।’
এর আগে, রোববার (১৫ আগস্ট) রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে কাল্লু, সোহাগ ও বিল্লালকে গ্রেফতার করে র্যাব। নারী পাচারকারী চক্রটি চলতি বছরের শুরুতে মিরপুরের এক তরুণীকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ভারতে পাচার করে পতিতালয়ে বিক্রি করে। পরে ওই মেয়েকে উদ্ধার করতে তার মা পরিচয় গোপন করে ওই চক্রটির সদস্য হয়ে ভারতে যান। পরে মা তার মেয়েকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হন। গণমাধ্যমে এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরে আসে।
সারাবাংলা/ইউজে/পিটিএম