রাবির গাছতলায় ক্লাস সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান মান্নার
১৭ আগস্ট ২০২১ ২৩:০৭
ঢাকা: দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষকের গাছতলায় ক্লাস নেওয়ার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহামুদুর রহমান মান্না। সারাদেশের সব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে এভাবেই ক্লাস নেওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। বলেছেন, এই প্রতিবাদ সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।
মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মান্না এ কথা জানান। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের যে তিন শিক্ষক গাছতলায় ক্লাস নিয়েছেন তারা হলেন— গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুন, ফোকলোর বিভাগের ড. আমিরুল ইসলাম কণক ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের বকতিয়ার আহমেদ। এর উদ্যোক্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ১৫ মাস ধরে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। সবকিছু খুলে দেওয়া হয়েছে। কেবল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। অফিস-আদালত, কলকারখানা, হাট-বাজার সব চালু আছে। সরকার আর সরকারি দলের বিভিন্ন অনুষ্ঠান, রাজনৈতিক কর্মসূচি এমনকি কথিত নির্বাচনও হয়েছে এই করোনার মধ্যেই। সরকারের আচরণ দেখলে মনে হয় করোনা কেবল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই আছে।
মান্না বলেন, সরকার বলছে— ভ্যাকসিন দেওয়ার পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হবে। বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ মিলিয়ে মোট ছাত্র আছে প্রায় ৩২ লাখ। শিক্ষক ও স্টাফ মিলিয়ে সংখ্যাটি ৩৫ লাখ হবে। আপনারা তো দিনে ৩০ লাখ ভ্যাকসিন দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। সব কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিয়ে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে ভ্যাকসিন কেন্দ্র করে একদিনে না পারেন, দুই দিনে এই ৩৫ লাখ ভ্যাকসিন দিয়ে দিন! কিন্তু না, তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবে না।
তিনি বলেন, এই সরকার দেশকে মেধাশূন্য করতে চায়। একটি অকার্যকর, অগণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। আর সব স্বৈরাচারী সরকারের মতো বর্তমান অগণতান্ত্রিক, ভোট ডাকাত সরকারও ছাত্র আন্দোলনকে ভয় পায়। তারা জানে যে দেশের ছাত্র সমাজ জেগে উঠলে তাদের ক্ষমতা ক্ষমতার খুঁটি নড়ে যাবে।
নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতে দখলদার সরকার দেশের তরুণ সমাজকে একটি অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে অভিযোগ করে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক বলেন, কিশোর-তরুণরা বিপথগামী হচ্ছে। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য প্রয়োজন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মতো প্রতিবাদ। তারা করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে যেভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনের সামনে সশরীরে এ ক্লাস নিতে শুরু করেছেন, এই প্রতিবাদ সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে।
ফাইল ছবি
সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর