অটিস্টিক শিশুদের আঁকা ছবি কিনি লাখ টাকায়: প্রধানমন্ত্রী
২ এপ্রিল ২০১৮ ১৩:১৬
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা পেলে অটিস্টিক শিশুরাও তাদের যোগ্যতার প্রমাণ দিতে পারে। তারা বিদেশ থেকে খেলাধূলা করে দেশের হয়ে স্বর্ণ জিতে এনেছে, যা অন্য অনেকেই পারেনি। আমি তাদের আঁকা ছবি দিয়েই শুভেচ্ছা কার্ড বানিয়ে বিভিন্ন জায়গাতে পাঠাই। যার কার্ড কিনি তাকে সম্মানী হিসেবে এক লাখ টাকাও দেই।
সোমবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এসময় তিনি আরো বলেন, এই কার্ড সাধারণত ২০ থেকে ২৫ হাজার কপি ছাপানো হয়। এভাবেই আমি কয়েক বছর থেকে অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী শিশুদের হাতে আঁকা ছবি দিয়েই শুভেচ্ছা কার্ড বানিয়ে তা পাঠিয়ে আসছি। আমাদের উদ্দেশ্য হলো, অটিস্টিক ও বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
অটিস্টিক শিশুদের সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পান মেয়ে পুতুলের কাছ থেকে বিষয়টি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার মেয়ে পুতুল এসব বিষয় নিয়ে আমেরিকায় লেখাপড়া করেছে, সে অটিজম নিয়ে কাজ করে। একবার পুতুলের সঙ্গে গিয়ে দেখলাম- একটি বাচ্চা হাঁটতে পারে না, চলতে পারে না, ট্রলির মধ্যে শুয়ে আছে। সে মুখ দিয়ে তুলি কামড়ে ধরে ছবি আঁকছে। আমি সে ছবিটা নিয়েছিলাম। এই ঘটনার পর থেকেই ‘অটিস্টিক শিশুদের ছবি দিয়ে শুভেচ্ছা কার্ড বানানো হচ্ছে’ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
অটিজম বিষয়ে সরকারের ভূমিকার প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, অটিজমের ওপর একটা রেজুলেশন গ্রহণ করেছে জাতিসংঘ। শুধু আমাদের দেশেই নয়, বিশ্বব্যাপী একটা সচেতনতা শুরু হয়েছে। আমাদের দেশেও অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন লোকদের জন্য প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে একটা কমপ্লেক্স তৈরি করতে চাই। মৃত্যু পর্যন্ত অটিস্টিক হয়ে জন্ম নেওয়া শিশুদের সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে এখানে। সূচনা ফাউন্ডেশন নামে একটি ফাউন্ডেশনও করে দিয়েছি।
অটিস্টিক ও বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের অবহেলা না করার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমরা সাভারে ২৭৮ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রতিবন্ধীদের জন্য ক্রীড়া কমপ্লেক্স গড়ে তুলছি। জাতীয় সংসদ প্রাঙ্গণেও তাদের খেলার জন্য জায়গার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’ অটিস্টিক শিশুদের প্রতিভার বিকাশে দেশের বিত্তশালীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
সারাবাংলা/এনআর/এমআইএস