Tuesday 26 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শামসুল আরেফীনের ৯৮ নিবন্ধ প্রকাশ করেছে এশিয়াটিক সোসাইটি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৯ আগস্ট ২০২১ ০৯:১৫

চট্টগ্রাম ব্যুরো: লোকগবেষক ও কবি শামসুল আরেফীনের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ৯৮টি নিবন্ধ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে সংস্থাটির দশ খণ্ডে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ’—এ এসব নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।

‘বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ’র প্রধান সম্পাদক হিসেবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ এবং ব্যবস্থাপনা সম্পাদক হিসেবে শাজাহান মিয়া দায়িত্ব পালন করেছেন।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে— শামসুল আরেফীন বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির ‘এনসাইক্লোপিডিয়া অব বাংলাদেশ ওয়ার অব লিবারেশন প্রজেক্ট’র আওতায় চট্টগ্রামের চন্দনাইশ, পটিয়া, কর্ণফুলী, সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলায় তথ্যসংগ্রাহক, গবেষক ও নিবন্ধকার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষের দশটি খণ্ডের মধ্যে প্রথম খণ্ডে তার ১২টি, দ্বিতীয় খণ্ডে ১৩টি, তৃতীয় খণ্ডে ১৪টি, চতুর্থ খণ্ডে ১২টি, পঞ্চম খণ্ডে ১৫টি, ষষ্ঠ খণ্ডে ৬টি, সপ্তম খণ্ডে ৬টি, অষ্টম খণ্ডে ৫টি, নবম খণ্ডে ১০টি এবং দশম খণ্ডে ৫টি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।

নিবন্ধগুলোতে চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক কালুরঘাট এবং চন্দনাইশ, পটিয়া, কর্ণফুলী, বোয়ালখালী, রাঙ্গুনিয়া, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া এবং কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলায় ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংঘটিত জ্বালাও-পোড়াও, হত্যা, গণহত্যা, অপারেশন, অ্যাম্বুশ, সম্মুখযুদ্ধের বিবরণ আছে। এসব অঞ্চলের রাজাকারদের তালিকা এবং বধ্যভূমির বিবরণও আছে। এছাড়া প্রতিরোধ যুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকদের নাম ও ভূমিকা, মুক্তিবাহিনীর বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার সদর এলাকায় ১৯৭৭ সালের ২০ নভেম্বর জন্ম নেন শামসুল আরেফীন। বাবা আবদুল মোবিন ও মা তমনারা বেগম। চন্দনাইশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গাছবাড়িয়া নিত্যানন্দ গৌরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়, গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজ ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি পড়াশোনা করেন।

শামসুল আরেফীন নব্বই দশকের শুরুতে ছড়া ও কবিতা দিয়ে লেখালেখি শুরু করেন। পরে তিনি লোকগবেষণায় সম্পৃক্ত হন। লোকগবেষণা করতে গিয়ে তিনি দিনের পর দিন চট্টগ্রামের পথে-প্রান্তরে পায়ে হেঁটেছেন এবং বাংলাদেশের অনেক অঞ্চলে ঘুরে বেড়িয়েছেন। বিলুপ্ত ও বিস্মৃতপ্রায় শতাধিক লোককবিকে তিনি গবেষণার মাধ্যমে তুলে এনেছেন।

এছাড়া তিনি চট্টগ্রামের আঞ্চলিক দৈনিক, সাহিত্য পত্রিকা, বিভিন্ন শিশুতোষ পত্রিকা ও ছড়াসংকলনে অনেক ছড়া ও কিশোর কবিতা লিখেছেন। দেশের খ্যাতনামা প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান বলাকা, হাওলাদার ও তৃতীয় চোখ থেকে শামসুল আরেফীনের প্রকাশিত ১৮টি গ্রন্থের মধ্যে আহমদ ছফার অন্দরমহল (২০০৪), রুবাইয়াত-ই-আরেফীন (কাব্য; ২০১৪), বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার দুর্লভ দলিল (২০১৬), আঠারো শতকের কবি আলী রজা ওরফে কানুফকির (২০১৭) এবং আস্কর আলী পণ্ডিত : একটি বিলুপ্ত অধ্যায় (২০০৬) উল্লেখযোগ্য।

সারাবাংলা/আরডি/এসএসএ

শামসুল আরেফীনের ৯৮ নিবন্ধ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর