ই-অরেঞ্জের আমান উল্যাহ কারাগারে
১৯ আগস্ট ২০২১ ১৯:২৪
ঢাকা: গ্রাহকের ১১ শত কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় ই-অরেঞ্জের চিফ অপারেটিং অফিসার আমান উল্যাহকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে আসামির ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানির তারিখ ২৩ আগস্ট দিন ধার্য করেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে ঢাকার অ্যাডিশনাল চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বকর ছিদ্দিকের আদালত এ আদেশ দেন।
এদিন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম আসামি আমান উল্যাহর ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। তবে এদিন তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে হাজির না হওয়ায় রিমান্ড শুনানি ২৩ আগস্ট তারিখ ধার্য করেন।
এর আগে, ১৮ আগস্ট সন্ধ্যায় আমান উল্যাহকে গুলশান এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে ২৪টি ক্রেডিট কার্ড, ১৬ লাখ টাকা এবং গাড়ি জব্দ করা হয়।
তারও আগে, ১৭ আগস্ট সোনিয়া মেহজাবিন ও মাসুকুর রহমানে আদালতে এসে আইনজীবীরা মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২১ এপ্রিল পণ্য কেনার জন্য ই-অরেঞ্জে অগ্রিম টাকা দেন এক গ্রাহক। তবে ই-অরেঞ্জ নির্ধারিত তারিখে পণ্য সরবরাহ করেনি। টাকাও ফেরত দেয়নি। নিজেদের ফেসবুক পেজে বার বার নোটিশ দিয়েছে, সময় চেয়েছে। কিন্তু পণ্য ও টাকা দেয়নি। সর্বশেষ তারা গুলশান-১ এর ১৩৬/১৩৭ নম্বর রোডের ৫/এ নম্বর ভবনে অবস্থিত অফিস থেকে পণ্য ডেলিভারির কথা বললেও তারা ডেলিভারি দেয়নি। এছাড়াও আজ পর্যন্ত তারা ভুক্তভোগীদের কোনো পণ্য ডেলিভারি না করে এক লাখ ভুক্তভোগীর প্রায় ১১০০ কোটি টাকা প্রতারণামূলকভাবে আত্মসাৎ করেছে বলে উল্লেখ করেন। এই ঘটনায় সকালে রাজধানীর গুলশান থানায় ভুক্তভোগী তাহেরুল ইসলাম প্রতারণার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন।
এজাহারে অন্য আসামিরা হলেন- আমানউল্ল্যাহ, বিথী আক্তার, কাউসার আহমেদ, সোনিয়া মেহজাবিনসহ ই-অরেঞ্জের সব মালিকরা।
সারাবাংলা/এআই/একেএম