খুলনার শিপইয়ার্ড সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থছাড়ের জটিলতা
২০ আগস্ট ২০২১ ০৮:৩৫
ঢাকা: জমি ও অর্থছাড়ের জটিলতায় বাধাগ্রস্ত হচ্ছে খুলনা শিপইয়ার্ড সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন। এটি বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ২৫৯ কোটি ২১ লাখ টাকা।
২০১৩ সালের জুলাই থেকে ২০২২ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটির কাজ শেষ করার লক্ষ্যে বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন করছে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এসব জটিলতায় যথাসময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে কি না তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। গত ৭ জুন অনুষ্ঠিত প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) সভায় এসব বিষয় উঠে আসে। গত ১৭ জুন জারি করা ওই সভার কার্যবিবরণী সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুল ইসলাম স্বাক্ষরিত কার্যবিবরণীতে বলা হয়, সভায় প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। ওই সভায় প্রকল্প পরিচালক জানান, প্রকল্পের আওতায় নিয়োগ করা ডিজাইন কনসালটেন্ট কাজ সম্পন্ন করেছে। স্থাপনার নিলামের ছয়টা প্যাকেজের মধ্যে পাঁচটা প্যাকেজের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। অবশিষ্ট একটা প্যাকেজ স্থাপনা অপসারণ কাজ চলমান। তবে প্রকল্পের অ্যালাইমেন্টের মধ্যে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের শূন্য দশমিক ২ হাজার ২১৫ একর জমি রেকর্ড সংক্রান্ত জটিলতার কারণে জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা অনুযায়ী খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ড ২০১৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর আদালতে রেকর্ড সংশোধনের জন্য মামলা রুজু করেছে। সেই মামলা বিচারাধীন। এছাড়াও দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরির শূন্য দশমিক ২ হাজার ৭৪০ একর ভূমির মধ্যে শূন্য দশমিক ১৫৩ একর ভূমি কম থাকায় অধিগ্রহণ সম্ভব হয়নি।
তিনি আরও জানান, প্রকল্পের সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (আরডিপিপি) গত বছরের ২১ জুলাই একনেক সভায় অনুমোদন হয়েছে। দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরির ভূমির প্রশাসনিক অনুমোদন মন্ত্রণালয় হতে চলতি বছরের ৮ জুন জারি করা হয়। প্রকল্পের নির্মাণকাজের জন্য পাঁচটি দরপত্র পাওয়া যায়। প্রাপ্ত দরপত্রগুলো যাচাই বাছাই করে টিইসির প্রতিবেদন অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয় হতে সিসিজিপিতে পাঠানো হয়েছিল। সিসিজিপি হতে পুনরায় প্রকল্পের দরপত্র আহ্বানের সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। চলতি বছরের ২৪ মে প্রকল্পের পুনঃ-দরপত্র আহ্বান করা হয়। এছাড়া চলতি অর্থবছরের প্রকল্পের ইফটিলিটি শিফটিংয়ের জন্য ২ কোটি ৭৬ লাখ ৫৭ হাজার টাকা ব্যয় করা হয়েছে। প্রকল্পের প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তির অবমুক্ত অর্থ হতে অব্যয়িত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে।
সভায় প্রকল্প পরিচালক বলেন, মামলা চলমান থাকলেও প্রকল্পের কাজ বাধাগ্রস্ত হবে না। প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় কাজের অগ্রগতি হচ্ছে না।
পিআইসি সভায় বলা হয়, প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণের কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে। রেকর্ড সংশোধন সংক্রান্ত মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিতে হবে। আগামী অর্থবছরে প্রয়োজনীয় অর্থবরাদ্দের জন্য প্রচেষ্টা চালাতে হবে। টেন্ডারের কাজ শেষ করে ঠিকাদার নিয়োগের মাধ্যমে ভৌত নির্মাণ কাজ শুরু করতে হবে। অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেলে প্রকল্পের কাজ ২০২২ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্প সমাপ্ত করার উদ্যোগ নিতে হবে।
সারাবাংলা/জেজে/এএম