Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বেড়েছে চিনি-ডিম-মাছের দাম, সবজিতে স্বস্তি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২০ আগস্ট ২০২১ ১৪:১৮

ঢাকা: সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে চিনি, ডিম, মুরগি ও মাছের দাম। এসব পণ্যের দাম বাড়ায় ক্রেতারা রয়েছেন অস্বস্তিতে। অপরিবর্তিত রয়েছে সবজির বাজার। বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে দাম বাড়লে তাদের বেশি দামেই বিক্রি করতে হয়।

শুক্রবার (২০ আগস্ট) সকালে রাজধানীর বসুন্ধরা কাঁচাবাজার ও নতুনবাজার কাঁচাবাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, চিনি খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। যা গত সপ্তাহেও বিক্রি হয়েছে ৭৩-৭৫ টাকায়। অপরদিকে প্যাকেট চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়, যা আগে ছিল ৮২ টাকা।

চিনির দাম বাড়ার বিষয়ে বসুন্ধরা কাঁচাবাজারের মুদি দোকানদার আঁখি জেনারেল স্টোরের মালিক শফিক জানান, গত সপ্তাহে খুচরা চিনি বিক্রি করেছেন ৭৩-৭৫ টাকায়। বাজারে খুচরা এবং প্যাকেটজাত চিনির দাম বেড়েছে। বর্তমানে প্যাকেটজাত চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। যা দুয়েকদিন আগেও বিক্রি করেছেন ৮২ টাকায়।

বাজারে দাম বেড়েছে ডিমের। গত সপ্তাহে একডজন ডিম বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকায়। যা এখন বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকায়। ডিমের বাড়তি দামের বিষয়ে মুদি দোকানদাররা বলছেন, বাজারে ডিমের চাহিদা বেশি। কিন্তু ফার্মগুলো থেকে ডিম না আসায় পাইকারি বাজারে দাম বেড়েছে।

বেড়েছে ব্রয়লার ও পাকিস্তানি মুরগির দামও। গত সপ্তাহে ১২০ টাকা কেজি প্রতি বিক্রি করা ব্রয়লার মুরগি এখন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা। পাকিস্তানি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা। যা তিনদিন আগেও ছিল ২০০ টাকা কেজি।

দাম বাড়ার বিষয়ে নতুন বাজার কাঁচাবাজারের মুরগি ব্যবসায়ী সাইদুল আলম সারাবাংলাকে বলেন, ঈদের পর থেকেই মুরগীর সরবরাহ কম। ঢাকাতে মুরগি আসছে কম। খামারগুলো থেকে মুরগি না আসলে ঢাকার পাইকারি বাজারে দাম বেড়ে যায়। গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ১০-১৫ টাকা বেশি দিয়েও মুরগি পাওয়া যাচ্ছে না।

বিজ্ঞাপন

একইসাথে বেড়েছে মাছের দামও। মাছ বাজারে গিয়ে দেখা যায়, গত সপ্তাহের তুলনায় মাছের বাজার কিছুটা গরম। বাগদা চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৬৬০ টাকা। গত সপ্তাহে যা বিক্রি হয়েছে ৫৪০-৫৫০ টাকা। ইলিশ মাছ ৭০০ গ্রাম ওজনের বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিল ৬৫০-৭০০ টাকা। কাতল মাছ বড় বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৪০০ টাকা। এখানেও কেজিতে ৫০-৬০ টাকা বাড়তি। টেংরা মাছ বিক্রি হচ্ছে মাঝারি কেজি প্রতি ৬০০ টাকা। যেখানে কেজিতে বেড়েছে ১০০ টাকার ওপরে। আর শিং মাছ বিক্রি হচ্ছে কেজি ৭০০ টাকা যেখানে কেজিতে বেড়েছে ৮০-৯০ টাকার মতো।

মাছের দামের বিষয়ে বসুন্ধরা মাছ বাজারের মাছ বিক্রেতা আব্দুল হেকিম সারাবাংলাকে বলেন, বাজারে মাছ নেই। বিক্রি করব কী? সকালে কাওরানবাজারে গিয়ে মাছই পায়নি। যা পেয়েছি তার দামও বেশি। কম মাছ এনেছি তাই বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। প্রত্যেক মাছের দাম বেড়েছে।

তবে গত সপ্তাহের দামেই সবজি বিক্রি হচ্ছে। বেগুন আকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৮০, ৬০ ও ৫০ টাকা। করলা ৫০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, সিম ১৬০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা। কুমড়া পিস ৬০ টাকা, লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৪৫ টাকা, পটল ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ টাকা, কাকরোল ৭০ টাকা।গাজর ১০০ টাকা। পেঁপে কেজি ৩০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজ কেজি ৪৫ টাকা। লেবু হালি বিক্রি হচ্ছে ২০-৩০ টাকায়।

বসুন্ধরা কাঁচাবাজারে এসেছেন বাজার করতে রফিক মাহমুদ। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, দেখেন প্রতি সপ্তাহে কিছু না কিছু পণ্যের দাম বাড়তি থাকেই। এই সপ্তাহে মুরগি,ডিম,চিনির দাম বাড়তি। এগুলো আমাদের লাগবেই। তেলে দাম আগে থেকেই বাড়তি। এখন মধ্যবিত্ত কিভাবে বাঁচবে? একটা সমন্বয় দরকার। এভাবে হুটহাট করে দাম বাড়বে এটা আমাদের জন্য কষ্টকর। আমরা যারা ছোট চাকরি করি তাদের হিসাব করেই চলতে হয়। এভাবে দাম বাড়লে টিকে থাকাটাই আমাদের জন্য খুব কষ্টের। সরকারের উচিত বাজার মনিটরিং সেল করা। তাহলে যদি কিছু হয।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসজে/এএম

বাজারদর

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর