‘মাওলানা তর্কবাগীশ এ দেশের রাজনীতির অবিচ্ছেদ্য অংশ’
২০ আগস্ট ২০২১ ১৮:৫০
ঢাকা: বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গে মাওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশের নাম অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
শুক্রবার (২০ আগস্ট) উপমহাদেশের প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ, বাংলাদেশ গণআজাদী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশের ৩৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বনানী সামরিক কবরস্থানে তার কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন, ফাতেহা পাঠ ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় তারা এ মন্তব্য করেন।
নেতারা বলেন, ‘উপমহাদেশের আজাদী আন্দোলন থেকে শুরু করে ভাষা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তিনি। যে-রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা, তারও নেতৃত্ব দিতে কুণ্ঠিত হননি তিনি। তাকে ভুলে যাওয়া মানে হচ্ছে অকৃতজ্ঞ জাতি হিসাবে নিজেদের প্রমাণ করা।’
বাংলাদেশ গণআজাদী লীগের সহসভাপতি প্রফেসর আমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- দলের মহাসচিব মুহম্মদ আতাউল্লাহ খান, বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (বিএলডিপি) চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী এম. নাজিমউদ্দিন আল আজাদ, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, বাংলাদেশ গণসংস্কৃতি দলের সভাপতি সরদার শামস আল মামুন (চাষী মামুন), জাতীয় স্বাধীনতা পার্টি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু, গণ রাজনৈতিক জোটের সভাপ্রধান সৈয়দ মঈনুজ্জামান লিটু, ইসলামি ঐক্যজোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা শওকত আমিন, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক সহকারী কর কমিশনার মির্জা শরিফুল আলম, ড. শরিফ সাকি, ড. হাবিবুর রহমান খান, যুগ্ম মহাসচিব মো. আবদুল হাই সবুজ, জহিরুল ইসলাম মিঠু, সাংগঠনিক সম্পাদক রেহানা আক্তার রেনু, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মো. আলী জিন্নাহসহ অন্যরা।
বিএলডিপি চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী এম নাজিমউদ্দিন আল আজাদ বলেন, ‘মাওলানা তর্কবাগীশ ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে আশির দশকে বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন অবধি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের জাতীয় পরিষদের প্রথম সভাপতি হিসেবে মাওলানা তর্কবাগীশ সর্বপ্রথম বাংলায় যে সংসদীয় কার্যপ্রণালি প্রবর্তন করেন তা আজও চালু আছে।’
বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, ‘ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রিাতষ্ঠায় তার অবদান জাতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। ১৯২২ সালে উপমহাদেশে স্বাধীনতা-সংগ্রামের রক্তাক্ত অধ্যায় ঐতিহাসিক ‘সলঙ্গা বিদ্রোহে’ নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সেদিনের তরুণ বিপ্লবী আবদুর রশীদ।’
গণ আজাদী লীগের মহাসচিব মুহম্মদ আতাউল্লাহ খান বলেন, ‘দুর্নীতি-দুবৃত্তায়নের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রামে মাওলানা আবদুর রশিদ তর্কবাগীশ আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস। তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামের রক্তসিঁড়ি সলঙ্গা বিদ্রোহের মহানায়ক, ঋণসালিশী বোর্ড প্রবর্তনের পথিকৃৎ, বর্গা আন্দোলনের অবিসংবাদিত কাণ্ডারি, দেশ ও জাতির প্রয়োজনে অকুতোভয় যোদ্ধা।’
আলোচনা সভার আগে বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগ, বাংলাদেশ ন্যাপ, গর্জো, জাতীয় লীগ, তর্কবাগীশ পরিষদের পক্ষ থেকে মরহুমের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
সারাবাংলা/এজেড/এমও