তালেবান ইস্যুতে কূটনীতিকদের বোঝাপড়ার লড়াই, ঢাকার অস্বস্তি
২০ আগস্ট ২০২১ ২১:৫৪
ঢাকা: কাবুলের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি তালেবানের হাতে চলে যাবার পর থেকেই বৈশ্বিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে আফগানিস্তান। এ ইস্যুতে দুনিয়াজুড়ে চলছে কূটনীতিকদের বোঝাপড়ার লড়াই।
সাম্প্রতি দেশ-বিদেশের কূটনীতিক ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাউন্টারপার্ট ও হাইপ্রোফাইল বৈঠকগুলোতে নির্ধারিত আলোচনার বাইরেও আফগানিস্তান পরিস্থিতি উঠে এসেছে। এসব আলোচনা থেকে তারা নিজ নিজ দেশের অবস্থানের সঙ্গে অন্যান্য দেশগুলোর অবস্থান মিলিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
শুক্রবার (২০ আগস্ট) এই প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাস ও মিশনগুলোর একাধিক দায়িত্বশীল প্রতিনিধি এসব তথ্য জানান।
রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা বলেন, ঘরোয়া আলোচনায় আমরা (বাংলাদেশ) কী চিন্তা-ভাবনা করছি, সেটা যখন কোনো কূটনীতিক জানতে চান, তখন অস্বস্তিতে পড়তে হয়। সাধারণত এই ধরনের বিব্রতকর ইস্যুগুলোতে এক শব্দের উত্তরে যতটা এড়িয়ে যাওয়া যায়।
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, ঢাকায় বিদেশি কূটনীতিকরাও পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করছেন। এখনকার গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে সজাগ দৃষ্টি রাখছেন। উন্নয়নশীল দেশগুলোর কূটনীতিকরা এ ইস্যুতে নিয়মিত ব্রিফও নিচ্ছেন এবং নজরে রাখছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলছেন, উদ্ভূত পরিস্থিতির শুরু থেকেই বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে ইস্যুটি আলোচনায় উঠেছিল। সাম্প্রতিক সময়ের আফগানিস্তান পরিস্থিতি একদম আলাদা। এখনকার পরিস্থিতি নিয়ে কোনো দেশের সঙ্গে আলোচনা হয়নি ঢাকার।
দক্ষিণ সুদান সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘বিভিন্ন দেশ নানাভাবে নানা আলোচনা করে। এগুলো আমরা গণমাধ্যমে দেখি। তাদের দেশের জনগণ যাকে সরকার হিসেবে গ্রহণ করবে আমরা তাদের সঙ্গেই কাজ করব।’
অবশ্য পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, ‘আফগানিস্তান প্রশ্নে তৃতীয় কোনো দেশের প্রভাবে সিদ্ধান্ত নেবে না বাংলাদেশ। আমরা চাই দেশটিতে স্থিতিশীলতা ফিরে আসুক।’
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এরই মধ্যে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের সঙ্গে আলোচনা করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। শুক্রবার (২০ আগস্ট) সকালে টুইটে আলোচনা ফলপ্রসূ বসে উল্লেখ করেছেন তিনি।
আফগানিস্তান ইস্যুতে পাকিস্তান, চীন, তুরস্ক ও ব্রিটেনসহ বিভিন্ন দেশ প্রতিক্রিয়া দেখালেও পরিস্থিতি ‘নজরে রাখা’র বিষয়টি মোটাদাগে উল্লেখ করা হয়েছে। কূটনীতিকদের বোঝাপড়ার লড়াইয়ে এখনই সিদ্ধান্তের ঝুঁকিতে যাচ্ছে না কোনো দেশ।
সারাবাংলা/টিআই/এজেড/এমও