Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

যথাসময়ে শনাক্ত না হওয়ায় ডেঙ্গুতে বাড়ছে শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি

সৈকত ভৌমিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২১ আগস্ট ২০২১ ২২:৩৩

ঢাকা: বিশ্বজুড়ে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারি চলছে। ব্যতিক্রম নয় বাংলাদেশও। কোভিড-১৯ সংক্রমণ মোকাবিলার পাশাপাশি বাংলাদেশে নতুন আতঙ্ক হয়ে দেখা দিচ্ছে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু সংক্রমণ। বিশেষ করে শিশুদের মাঝে ডেঙ্গু আক্রান্তের হার বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোভিড-১৯ সংক্রমণকালে যথাসময়ে ডেঙ্গু শনাক্ত না হওয়ার কারণে শিশুদের মাঝে বাড়ছে মৃত্যুঝুঁকিও।

দেশে ২০১৯ সালে ডেঙ্গু সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। পরবর্তীতে ২০২০ সালে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কমে আসতে থাকে। ২০২১ সালের প্রথম ছয় মাসে দেশে ৩৭২ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়। কিন্তু জুন থেকে এ সংখ্যা বাড়তে থাকে। জুলাইয়ে দেশে দুই হাজার ২৮৬ জনের মাঝে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়। আর আগস্টের প্রথম ২১ দিনেই ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ হাজার ৯২ জন। সরকারি হিসাব বলছে, এ বছর ডেঙ্গুতে মোট ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে আগস্টের ২১ দিনেই মারা গেছেন ২৩ জন।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, শুধুমাত্র ২০ থেকে ২১ আগস্ট পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীর শিশু হাসপাতালে ৮০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে অধিকাংশকেই শিশু নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) ভর্তি করতে হচ্ছে পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার কারণে। চলতি আগস্টের ২১ তারিখ পর্যন্ত ২৩২ জন শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে রাজধানীর এই সরকারি হাসপাতালে।

প্রায় একই অবস্থা রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এছাড়া রাজধানী বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতেও ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীরা ভর্তি হচ্ছে, যার মধ্যে শিশুদের হার বেশি।

বিজ্ঞাপন

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে দেশে অনেকেই ভাবছেন জ্বর মানেই কোভিড-১৯। আর তাই তারা ডেঙ্গু পরীক্ষা না করে বাসায় অপেক্ষা করছেন। কেউ কেউ কোভিড-১৯ নমুনা পরীক্ষা করালেও ডেঙ্গু পরীক্ষা করাচ্ছেন না। আবার অনেকে কোভিড-১৯ ভেবে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ ছাড়াই ওষুধ খাচ্ছেন। এতে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। দেরিতে পরীক্ষার ফলে ডেঙ্গু শনাক্তের পর পরই শক সিন্ড্রোমে চলে যাচ্ছে রোগীরা। বিশেষ করে শিশুদের মাঝে এই মাত্রা অনেক বেশি।

বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, কোভিড-১৯ মহামারি পরিস্থিতিতে ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। এক্ষেত্রে রোগী ও চিকিৎসক উভয়কেই সতর্ক হতে হবে। সেইসঙ্গে ম্যালেরিয়ার ঝুঁকিও থাকছে এমন সময়ে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন সারাবাংলাকে বলেন, ‘কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে ডেঙ্গু অবশ্যই একটি চ্যালেঞ্জ। কিন্তু এর মানে এই নয় যে, এটি মোকাবিলা করা যাবে না। কোনো দেশে যখন ডেঙ্গু প্রবেশ করে তখন তা কিন্তু বের হতে জানে না সহজে। আর তাই এ পরিস্থিতিকে মোকাবিলা করতে হলে সবার আগে প্রয়োজন রোগ শনাক্ত করা। এ দুই রোগের ক্ষেত্রেই কিন্তু কিছু নির্দিষ্ট লক্ষণ আছে, যা বোঝার জন্য দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘সব জ্বরই কিন্তু কোভিড-১৯ নয়। ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে বলতে হয়, এটি শুরু থেকেই কিন্তু শরীরে প্রভাব বিস্তার শুরু করবে, যা কোভিডের ক্ষেত্রে খুব একটা বেশি দেখা যায় না। ১০৩ থেকে ১০৪ ডিগ্রি জ্বর, তীব্র মাথা ব্যাথা, শরীরে র‍্যাশ থাকাসহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ ইন্ডিকেশন ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে থাকে। যা কোভিডের ক্ষেত্রে তেমনভাবে নাও থাকতে পারে শুরু থেকে। যদি কোনো রোগী বলে তার ডায়রিয়া হচ্ছে- তবে সেটি কোভিড বলে শনাক্ত করা যাবে না। কিন্তু যদি কোনো রোগী বলে তার পেট ব্যাথা ও ডায়রিয়া দুটোই একসঙ্গে হচ্ছে- সেক্ষেত্রে ডেঙ্গুর চেয়ে তার কোভিড হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। কিন্তু এক্ষেত্রে যদি বমিও হতে থাকে, বিশেষ করে শিশুদের মাঝে- তবে সেটি আবার ডেঙ্গু হওয়ার সম্ভাবনা বেশি হবে। এগুলো আসলে চিকিৎসকদের সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘চিকিৎসকরা অবশ্যই গাইডলাইন অনুযায়ী চিকিৎসা দিবেন। কিন্তু সবার আগে জরুরি সেই চিকিৎসকের কাছে যাওয়া। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রোগ নির্ণয় করে চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়াটা হচ্ছে একমাত্র উপায়। বর্তমানে আমরা যেসব রোগী পাচ্ছি তাদের অধিকাংশই কিন্তু শিশু। তাই আমাদের মূল চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, শিশুদের রোগ শনাক্ত করে তাদের চিকিৎসা দেওয়া। যত দেরি হবে, বিপদের সম্ভাবনাও তত বাড়তে থাকবে।’

অধ্যাপক রোবেদ আমিন বলেন, ‘ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের শনাক্ত যত দ্রুত করা যাবে তত ভালো। এক্ষেত্রে কিছু উপসর্গ দেখে শনাক্ত করা যেতে পারে। যেমন শরীরের কোনো স্থানে যেমন দাঁতের মাড়ি, নাক বা অন্য কোনো স্থানে রক্তক্ষরণ হচ্ছে কি না সেটা খেয়াল রাখতে হবে। এক্ষেত্রে প্রস্রাব বা পায়খানা দিয়েও রক্তক্ষরণ হতে পারে। আবার মহিলাদের মেনস্ট্রুয়াল ব্লিডিংও বেড়ে যেতে পারে। রোগীর জ্বর কমে গেলেও যদি এমন ব্লিডিং হয় তবে সেটি কিন্তু বিপদজনক একটি লক্ষণ। এক্ষেত্রে শিশুর ডিহাইড্রেশন হচ্ছে কি না তাও খেয়াল রাখতে হবে। এগুলো সবই কিন্তু বিপদের লক্ষণ। এ সব ক্ষেত্রে জ্বর না থাকার কারণে রিল্যাক্স না হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘মূল বিষয় হচ্ছে- জ্বর হলেই রোগ শনাক্ত করা জরুরি। কোনোভাবেই নিজে থেকে শিশুদের বা প্রাপ্ত বয়স্কদের চিকিৎসা করানো যাবে না। অবশ্যই সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রোগ শনাক্ত করে চিকিৎসা শুরু করতে হবে।’

জানতে চাইলে বিএমডিসি চেয়ারম্যান ও কোভিড-১৯ মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. সহিদুল্লাহ সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা সবাই এখন কোভিড-১৯ মোকাবিলা নিয়ে ভাবছি। এর মধ্যে বিগত কয়েকমাসে বাড়ছে ডেঙ্গু। আমরা সবাই জানি, কোভিডে শিশুদের মৃত্যুর ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে কম। কিন্তু ডেঙ্গুতে ঠিক উল্টো। শিশুরাই ডেঙ্গুতে বেশি আক্রান্ত হয়। আর তাদের মাঝে মৃত্যুর হারও বেশি থাকে। তাই এমন পরিস্থিতিতে সতর্ক থাকতে হবে বেশি।’

তিনি বলেন, ‘সময় মতন ডেঙ্গু শনাক্ত হওয়া খুবই জরুরি বিষয়। কেউ যদি কোভিড ভেবে ডেঙ্গুকে ভুলে যায় তবে তা বিপদজনক হতে পারে। সেক্ষেত্রে বাচ্চাদের হাসপাতালে নিয়ে গেলেও দেখা যায়, অনেক ক্ষেত্রে দেরি হয়ে যাচ্ছে। আর তাই জ্বর দেখা মাত্র কোভিডের পাশাপাশি ডেঙ্গুর নমুনা পরীক্ষা করানোটাই নিরাপদ। দেরিতে রোগ শনাক্ত হলে ক্ষতির মাত্রাও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।’

ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. সফি আহমেদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘বিগত বছরের তুলনায় চলতি বছর সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যাচ্ছে। এবার ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুদের পরিস্থিতি খুব দ্রুতই খারাপ হচ্ছে। দেরিতে শনাক্ত হওয়ার কারণে এবার শিশুদের মাঝে শক সিনড্রোমে চলে যাচ্ছে খুব দ্রুতই। এখন যারা আসছে তাদের মধ্যে ডেঙ্গু শক সিনড্রোম দেখা যাচ্ছে, অনেকে ডেঙ্গু হেমোরজিক উপসর্গ নিয়ে আসছে। শিশুদের মাঝে প্রচণ্ড জ্বর, মাথা ব্যথা, পাতলা পায়খানাসহ বিভিন্ন উপসর্গ দেখা যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘দুটো কারণে এবারের ডেঙ্গুটা বাড়ছে ও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। বৈজ্ঞানিকভাবে যদি বলি, এবার সম্ভবত ডেঙ্গুর সেরোটাইপ বা ধরণ পাল্টাচ্ছে। এক্ষেত্রে পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে বলতে হয়, যাদের একবার ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার ইতিহাস থাকে তারা পরের বার ভিন্ন ধরণে আক্রান্ত হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে ঝুঁকি বাড়ে। কিন্তু শিশুদের ক্ষেত্রে বিশেষ করে যারা মাতৃদুগ্ধ পান করছে তাদের বিপদের ঝুঁকি বাড়ছে।’

তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ সংক্রমণ মোকাবিলায় সারা দেশে স্কুল কলেজগুলো বন্ধ আছে। এক্ষেত্রে অধিকাংশ শিশুই কিন্তু বাসায়। এমন অবস্থায় বাসায় এডিস মশার কামড়ে আক্রান্ত হচ্ছে তারা। এক্ষেত্রে সবাই কোভিড নিয়ে ভেবে ডেঙ্গুর নমুনা পরীক্ষা করাচ্ছে না। আর নমুনা পরীক্ষা করালেও দেখা যাচ্ছে দেরিতে যাচ্ছে। ফলে শিশুদের মাঝে ঝুঁকি বাড়ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘নগরী ও বাসাবাড়ির চারপাশে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ থাকা, নোংরা ড্রেন পরিষ্কার না করায় চলতি বর্ষা মৌসুমে মশার প্রজনন বেড়ে গেছে। অথচ নগরীকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখলে এবং মশার প্রজননক্ষেত্র ধ্বংস করলেই মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। ডেঙ্গু থেকে রক্ষায় বাসা ও আশপাশের ড্রেন, ফুলের টব ইত্যাদিতে জমে থাকা পানি ফেলে দিয়ে সেগুলো পরিষ্কার রাখতে হবে।’

অধ্যাপক সফি আহমেদ বলেন, ‘অনেকের ধারণা, শুধুমাত্র দিনের বেলায় এডিস মশা কামড়ায়। কিন্তু এখন দেশে অনেক বাসাতেই দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা লাইট জ্বালানো থাকে। এক্ষেত্রে মশা কিন্তু দিন বা রাত্রি এগুলো আলাদা করতে পারছে না। এমন অবস্থায় মশা কিন্তু যেকোনো সময় আক্রান্ত করতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের সিটি করপোরেশনগুলো লার্ভা মারছে। কিন্তু মশা তো অনেক আছে। যেগুলো বাসা বাড়িতে বা অফিসে থাকছে- সেগুলোও মারতে হবে। নইলে সেগুলো আবার লার্ভা ছাড়বে। এগুলো ধ্বংস করার পাশাপাশি রোগ শনাক্ত করতে হবে দ্রুত। করোনা ভেবে যদি ডেঙ্গুকে অবহেলা করা হয় তবে বিপদ বাড়বেই।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) মেডিসিন বিভাগের সাবেক ডিন ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ সারাবাংলাকে বলেন, ‘স্কুল বন্ধ থাকার এই সময়ে সারাদিন ঘরে থাকা বাচ্চাদের যেন মশা না কামড়ায়, সে বিষয়ে খুবই সতর্ক থাকতে হবে। বাচ্চারা দিনের বেলায় ঘুমালেও মশারি টানিয়ে দিতে হবে। তারা যেন হাফ প্যান্ট না পরে, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। আর জ্বর হলেও করোনা এবং ডেঙ্গু— দুটোরই নমুনা পরীক্ষা করাতে হবে। দেরিতে রোগ শনাক্ত হলে ঝুঁকির মাত্রাও বেড়ে যাবে।’

আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এ এস এম আলমগীর সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের দেশে সারা বছরই মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে থাকে। কিন্তু আমরা দেখছি, এবার হেমোরেজিক বেশি হচ্ছে। এক্ষেত্রে আতঙ্কজনক বিষয়ে হলো, রক্তক্ষরণ হচ্ছে অনেক ক্ষেত্রে। এটি ডেঙ্গুর নতুন কোনো ধরন কি না, সেটি আমরা পরীক্ষা করে দেখছি।’

তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ সংক্রমণের কারণে হাসপাতালে অনেক ক্ষেত্রেই বেড পাওয়া যাচ্ছে না— এটি সত্যি। কিন্তু বাংলাদেশে ডেঙ্গু পরীক্ষা ও চিকিৎসায় সবধরনের সক্ষমতা আছে। এখন যেটি প্রয়োজন সেটি হলো— জ্বর হলেই করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গু পরীক্ষাও করাতে হবে। সেইসঙ্গে দ্রুত চিকিৎসাও শুরু করতে হবে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের অন্যতম উপায় হলো- দ্রুত চিকিৎসা শুরু করে দেওয়া।’

কোভিড-১৯ মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘এ বছর প্রায় পুরোটা সময় আসলে কোভিড-১৯ নিয়েই সবার চিন্তা ছিল। এটি নিয়ে ভাবতে গিয়ে অন্যান্য রোগের বিষয়ে আসলে তেমন আলোচনা হয়নি। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যেতে হবে সারাবছর। এর কোনো বিকল্প নেই। সমন্বিতভাবে বিভিন্ন সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মিলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যেতে হবে।’

তবে উপসর্গ দেখা মাত্র অবশ্যই করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গুর নমুনাও পরীক্ষা করাতে হবে বলে জানান এই বিশেষজ্ঞ।

সারাবাংলা/এসবি/পিটিএম

কোভিড-১৯ ডেঙ্গু মৃত্যুঝুঁকি শিশু

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর