শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বুলিং রোধে নীতিমালার বিষয়ে হাইকোর্টের রুল
২২ আগস্ট ২০২১ ১৪:৪৪
ঢাকা: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বুলিং রোধে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা ও উদাসীনতা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। একইসঙ্গে বুলিং রোধে কেন একটি নীতিমালা তৈরি করা হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বনশ্রী শাখার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ১৬ বছর বয়সী কিশোর আজওয়াদ আহনাফ করিম বডি শেমিংয়ের শিকার হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ঢাকা জেলা শিক্ষা অফিসারকে ওই ঘটনা তদন্ত করে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে হাইকোর্টে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
রোববার (২২ আগস্ট) এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ।
এর আগে গত ৮ জুলাই ‘মোটা বলে সহপাঠী ও শিক্ষকের লাঞ্ছনার শিকার মৃত কিশোরের পরিবার যা বলছে’ শিরোনামে বিবিসি বাংলায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।
সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকায় অ্যানোরেক্সিয়া এবং বুলিমিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এক কিশোরের মৃত্যুর পর তার পরিবার অভিযোগ করেছে, স্কুলের সহপাঠী ও শিক্ষকদের বুলিংয়ের শিকার হওয়ার ফলস্বরূপ এই ঘটনা ঘটেছে। ফেসবুকে এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট কয়েক হাজার মানুষ শেয়ার করেছেন, যাদের প্রায় সবাই বডিশেমিং, বুলিংয়ের মতো ইস্যুতে নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন, প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
কিশোরের বাবা মো. ফজলুল করিম বলেছেন, তার ছেলের ওজন স্বাভাবিকের চাইতে বেশি হওয়ার কারণে, স্কুলে তাকে প্রায় নিয়মিতই বুলিং ও উপহাসের শিকার হতে হতো। কিন্তু স্কুলে কখনো এ নিয়ে অভিযোগ জানাননি তারা। এখনো বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো অভিযোগ জানাতে চান না তারা। তবে পরিবার চায় স্কুলে বুলিং বন্ধ করার জন্য যেন সরকার ব্যবস্থা নেয়।
পরে ওই প্রতিবেদন সংযুক্ত করে সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের প্রতি একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। তবে সে নোটিশের কোনো জবাব না পেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এএম