ঢাকা: বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীসহ চারজনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছেন আদালত। এই চার্জ গঠনের মধ্যে দিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার শুরু হলো।
রোববার (২২ আগস্ট) বিকেলে ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হকের আদালত চার্জ গঠনের আদেশ দেন। একইসঙ্গে আদালত আগামী ১৩ অক্টোবর সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেন।
বিচার শুরু হওয়া অপর দুই আসামি হলেন, সাব্বির খন্দকার ও শেখ তায়িবা নূর।
চার্জ শুনানির আগে আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবীরা অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের প্রার্থনা করা হয়। শুনানি শেষে আদালত আসামিদের কাছে জানতে চান, তারা দোষী না নির্দোষ। আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. নজমুল হক ২০২০ সালের ২৯ নভেম্বর চার আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে দেশত্যাগের সময় শামিমা নূর পাপিয়া ওরফে পিউসহ (২৮) চার জনকে আটক করে র্যাব-১।
ওই বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ফার্মগেটের ২৮ ইন্দিরা রোড ঠিকানায় পাপিয়া-মফিজুরের বাসায় অভিযান শুরু করে র্যাব। ওই বাসা থেকে নগদ ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ, পাঁচটি পাসপোর্ট, তিনটি চেক বই, কিছু বিদেশি মুদ্রা ও বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি ভিসা ও এটিএম কার্ড উদ্ধার করা হয়। এছাড়া লাইসেন্স বিহীন একটি বিদেশি পিস্তল, দুইটি ম্যাগজিন ও ২০ রাউন্ড গুলিও পাওয়া যায় বাসা থেকে।
ওই ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলাটি দায়ের করেছিলেন র্যাব-১ এর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার সফিকুল ইসলাম।