২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ও শনাক্ত বেড়েছে
২২ আগস্ট ২০২১ ১৭:১৮
ঢাকা: সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) মৃত্যু ও সংক্রমণের পরিমাণ বেড়েছে। এই সময়ে সারাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে মারা গেছেন ১৩৯ জন। আগের দিন এই সংখ্যা ছিল ১২০। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ৮০৪ জনের শরীরের কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় এই সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৯৯১।
রোববার (২২ আগস্ট) অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদফতর এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৭৩২টি ল্যাবে করোনা নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এই সময়ে এসব ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ করা হয় ৩০ হাজার ৬১৮টি। আর আগের দিনেরসহ নমুনা পরীক্ষা করা হয় ৩১ হাজার ৬৮৯টি। গত ২৪ ঘণ্টার নমুনা পরীক্ষা মিলিয়ে এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসের মোট নমুনা পরীক্ষা হলো ৮৬ লাখ ৪৯ হাজার ৫১৭টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা করা নমুনার ৪ হাজার ৮০৪টিতে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট সংক্রমণ দাঁড়াল ১৪ লাখ ৬১ হাজার ৯৯৮টিতে। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণ শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ১৫ শতাংশ। আর এখন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণ শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৯০ শতাংশ।
একই সময়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়েছেন ৮ হাজার ৪৫৩ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হওয়া ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়াল ১৩ লাখ ৬৩ হাজার ৮৭৪ জনে। সংক্রমণ বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৩ দশমিক ২৯ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণ নিয়ে যে ১৩৯ জন মারা গেছেন, এ নিয়ে দেশে করোনায় মৃত্যু দাঁড়াল ২৫ হাজার ২৮২ জনে। সংক্রমণ বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৩ শতাংশ। অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃতদের মধ্যে পুরুষ ৭২ জন, নারী ৬৭ জন। তাদের মধ্যে বাসায় চার জন ও ১৩৫ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণ নিয়ে মৃত ১৩৯ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৭ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছর। এছাড়া ৬১ থেকে ৭০ বছরের ৩১ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছর বয়সী ২৮ জন মারা গেছেন। এর বাইরে ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ১৯ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী সাত জন, ৮১ থেকে ৯০ বছর বয়সী আট জন, ৯১ থেকে ১০০ বছর বয়সী চার জন, ২১ থেকে ৩র বছর বয়সী দুই জন এবং ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এই সময়ে ১০০ বছরের বেশি এবং ১০ বছরের কম বয়সী কেউ মারা যায়নি।
মৃত এই ১৩৯ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩৮ জন ছিলেন ঢাকা বিভাগের, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩১ জন চট্টগ্রাম বিভাগের ও তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৭ জন খুলনা বিভাগের। এ ছাড়া রাজশাহী বিভাগের ১৫ জন, বরিশাল বিভাগের আট জন, সিলেট বিভাগের ১২ জন, রংপুর বিভাগের আট জন এবং ময়মনসিংহের ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সারাবাংলা/পিটিএম