বরিশালে ইউএনও’র বিরুদ্ধে ২ মামলার আবেদন, তদন্তে পিবিআই
২২ আগস্ট ২০২১ ১৭:৩১
বরিশাল: হামলা-সংঘর্ষের ঘটনায় বরিশাল সদর উপজেলার ইউএনও মুনিবুর রহমানের বিরুদ্ধে দুই নালিশি মামলার আবেদন আমলে নিয়ে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেটশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপারকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাসুম বিল্লাহ।
আদালতের নাজির কামরুল হাসান রোববার (২২ আগস্ট) বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে রোববার সকালে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র রফিকুল ইসলাম খোকন ইউএনও মুনিবুর রহমানের বিরুদ্ধে একটি মামলার আবেদন করেন। সেটিতে ইউএনও ছাড়াও আসামি করা হয়েছে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নুরুল ইসলামসহ ৮ জনকে। এছাড়া আরও ৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
অন্যদিকে ইউএনওর বিরুদ্ধে আরেকটি নালিশি মামলা দায়ের করেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা বাবুল হালদার। সেই অভিযোগে ইএনওর নাম উল্লেখসহ ৪০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
রফিকুল ইসলাম খোকন এবং মো. বাবুলের করা মামলার আবেদনে ইউএনও মুনিবুর রহমানের বিরুদ্ধে বিসিসির কাজে বাঁধা দান, বিনা উসকানিতে বিসিসির কর্মচারীদের উপর গুলিবর্ষণের নির্দেশ প্রদান, হামলা, গুলির মাধ্যমে একাধিক ব্যক্তির অঙ্গহানি এবং ৩০-৪০ জনকে আহত করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এদিকে ইউএনওর বাসায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হামলা ও পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় করা দুটি মামলায় গ্রেফতার ২১ জনের জামিন নাকচ করে দিয়েছেন আদালত। মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক মাসুম বিল্লাহ তাদের জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এসময় গ্রেফতার আওয়ামী লীগের ২১ নেতাকর্মীকে হেফাজতে রেখে সুচিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বরিশাল নগরীর থানা কাউন্সিল (উপজেলা পরিষদ) কম্পাউন্ডে ব্যানার অপসারণকে কেন্দ্র করে সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের লক্ষ্য করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে আনসার সদস্যদের গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। অপরদিকে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সরকারি বাসভবনে হামলার অভিযোগ তুলেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। আর পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও আনসার সদস্যদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের ওই সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে ৩ পুলিশ ও ২ আনসার সদস্য রয়েছেন।
আরও পড়ুন- বরিশালে সংঘর্ষ: ইউএনও’র বিরুদ্ধে আদালতে ২ মামলার আবেদন
সারাবাংলা/এসএসএ