ঢাকা: সাড়ে চার মাস পর হাইকোর্টে আগাম জামিন আবেদন শুনানি শুরু হয়েছে। আর প্রথম দিনেই আগাম জামিনের জন্য জমা পড়েছে প্রায় ১৩০০ আবেদন।
রোববার (২২ আগস্ট) বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার মো. হারুন-অর-রশীদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, ১৩০০ আগাম জামিন আবেদন নির্ধারিত হাইকোর্ট বেঞ্চে কার্যতালিকা অনুযায়ী শুনানি হবে।
আগাম জামিন আবেদনে আবেদনকারীর সরাসরি উপস্থিতির বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ভার্চুয়াল কোর্টে সেটি কীভাবে হবে— জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজল সাংবাদিকদের বলেন, আগাম জামিন আবেদন শুনানির বিষয়টি আজ (রোববার) আমরা হাইকোর্টের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের ভার্চুয়াল বেঞ্চের নজরে এনেছিলাম। আদালত বলেছেন, আগাম জামিন আবেদনের সঙ্গে আবেদনকারীকে মামলার এফআইআর ও জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি যুক্ত করতে হবে। এ ছাড়া আবেদনকারীকে তার মূল জাতীয় পরিচয়পত্রটি শুনানির আগের দিন আদালতে জমা দিতে হবে। সেটি তিনি শুনানির পর ফেরত পাবেন।
তিনি আরও বলেন, জামিন আবেদনের শুনানির সময় আইনজীবীর চেম্বারে বসেই আবেদনকারী ভার্চুয়াল আদালতে নিজেকে প্রদর্শন করতে পারবেন। এ ছাড়া ভিড় কমানোর জন্য একটি আবেদনে একসঙ্গে পাঁচ জন জামিন আবেদন করতে পারবেন এবং শুনানির দিন একজন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সংশ্লিষ্ট কোর্টে অ্যাসাইনড থাকবেন।
এর আগে, দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে সরকারের জারি করা বিধিনিষেধের কারণে গত ৫ এপ্রিল থেকে ২১ আগস্ট পর্যন্ত আগাম জামিন শুনানি বন্ধ ছিল। সাড়ে চার মাস পর গত ১৭ আগস্ট আগাম জামিন আবেদনের শুনানির দ্বার উন্মুক্ত করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করে এবং প্রয়োজনীয় সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিয়ে ২২ আগস্ট থেকে হাইকোর্ট বিভাগে সংশ্লিষ্ট ফৌজদারি মোশন বেঞ্চগুলোতে আগাম জামিন শুনানি নেওয়া হবে। সংশ্লিষ্ট ফৌজদারি মোশন বেঞ্চ শুনানির সময় নির্ধারণ করবেন।