Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে সরকার ভয়ংকর ক্ষতি করছে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৩ আগস্ট ২০২১ ১৮:০৬

ঢাকা: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে সরকার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ‘ভয়ংকর ক্ষতি’ করছে বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই অভিযোগ করেন। বিএনপি পরিচালিত কোভিড-১৯ হেল্প সেন্টারের জন্য ওষুধ সামগ্রী হস্তান্তর উপলক্ষে জিয়া পরিষদ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

বিজ্ঞাপন

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘হঠাৎ করেই কঠোর লকডাউন-টকডাউন উধাও হয়ে গেল। এখন যে যেমন খুশি চল। হাজার হাজার মানুষ একসঙ্গে চলছে, ফিরছে- সবকিছুই করছে। একটা জিনিসই চলছে না, সেটা হচ্ছে- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। অর্থাৎ বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন শিক্ষা না পায়, সেই ব্যবস্থা তারা (সরকার) করছে। এভাবে তারা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ভয়ংকর ক্ষতি করছে।’

তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর সব দেশেই করোনা নিয়ে পরিকল্পনা করা হয়েছে। তারা যেমন ভ্যকসিন ও ভ্যাকসিনেশনের জন্য পরিকল্পনা করেছে, তেমনি মানুষকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য জীবন-জীবিকার পরিকল্পনা করেছে। সেইসঙ্গে কীভাবে শিক্ষা দেওয়া যায়, সেটারও পরিকল্পনা করেছে। আমাদের এখানে কোনো পরিকল্পনা নাই।’

অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অনলাইনে কারা পড়ে? একমাত্র যারা বিত্তশালী মানুষ, তাদের ছেলেমেয়েরাই অনলাইনে পড়াশুনা করতে পারে। আর তো কারও পক্ষে সম্ভব নয়। একটা কম্পিউটার যোগাড় করা, একটা মোবাইল সেট যোগাড় করা সবার পক্ষে সম্ভব না। গ্রামে স্কুল যেগুলো আছে সেগুলো সম্পূর্ণ বন্ধ।পত্রিকায় দেখেছেন যে, ছেলেরা এখন বেলুন বিক্রি করছে, বাদাম বিক্রি করছে। স্কুল বন্ধ, এখন তারা বাবা-মাকে সাহায্য করার জন্য এগুলো করছে। অর্থাৎ দে হ্যাভ বিন অলরেডি ডাইভার্টেড।’

বিজ্ঞাপন

করোনা মোকবিলায় সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘তারা না পেরেছে চিকিৎসা দিতে, না পেরেছে জনগণের আগাম প্রিভেনটিভ ব্যবস্থা তৈরি করতে, না পেরেছে মানুষের মধ্যে একটা আস্থা তৈরি করতে। পুরো চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে দুর্নীতি।’

ভ্যাকসিন নিয়ে তেলেসমাতি কাণ্ড হচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘মিথ্যা অপপ্রচার ও ভুল তথ্য দিয়ে পুরো জাতিকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন- ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত ভ্যাকসিন দেওয়া দরকার। তাহলে ভ্যাকসিনের প্রয়োজন মোটামুটিভাবে ১৩ কোটি মানুষের। দুই ডোজ করে দিলে লাগবে ২৬ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন। তারা আনছে ২ লাখ, ৩ লাখ, ১ লাখ করে ভ্যাকসিন। তাও আবার দান, অনুদানের। এরপর আবার বলে, আমরা গণটিকা প্রদানের অভিযান করছি। প্রতিদিন এক কোটি করে ভ্যাকসিন দেব। অথচ ভ্যাকসিন নেই।’

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্মদিন নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বক্তব্যকে ‘রাজনৈতিক শিষ্টাচার বর্হিভূত’ বলে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গোটা দেশের মানুষ যখন করোনার ভ্যাকসিন ও জীবন-মৃত্যু নিয়ে লড়ছে সেই সময়ে তারা এটাকে ডাইভার্ট করে দিয়ে বিভিন্ন ইস্যু তৈরি করে। আমি মনে করি উনার (ওবায়দুল কাদের) বক্তব্য রাজনৈতিক শিষ্টাচার বিবর্জিত।’

জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব অধ্যাপক এমতাজ আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন জিয়া পরিষদের শফিকুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ, আবু জাফর খান, দেলোয়ার হোসেন, শহীদুল ইসলাম, নীলিমা রহমান লিলি, নুরুন নবী, ইদ্রিস আলী প্রমুখ।

সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম

বিএনপি মির্জা ফখরুল ইসলাম

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর