‘ফেব্রুয়ারির মধ্যে ৮ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব’
২৩ আগস্ট ২০২১ ২৩:০৬
ঢাকা: দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আগামী বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যে সাত থেকে আট কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হবে বলে আশাবাদ জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সোমবার (২৩ আগস্ট) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
জাহিদ মালেক বলেন, আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে যেভাবে ভ্যাকসিনের প্রতিশ্রুতি পেয়েছি, তাতে আগামীতে বাংলাদেশে ভ্যাকসিনের খুব একটা অভাব দেখা দেবে না। আমরা ১৬ কোটি ভ্যাকসিন পেয়ে গেলে আট কোটি মানুষকে দিতে পারব। এগুলো ডিসেম্বরের মধ্যে আসার কথা। এছাড়া কোভ্যাক্স থেকে কিছু বিনামূল্যে ভ্যাকসিন আসবে। আমরা আশা করি জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যে সাত-আট কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে পারব, এর চেয়ে বেশিও হতে পারে।
তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে— আমরা ভ্যাকসিন গ্রহণ করব কি না। সেগুলো আমাদের কিনে নিতে হবে। আমরা সেখান থেকে তিন কোটি ডোজ সিনোফার্মের ভ্যাকসিন পাব। আরও সাড়ে সাত কোটি ডোজ ফাইজারের ভ্যাকসিন বিনামূল্যে আসবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এই কার্যক্রম এখন শহরে বেশি। কারণ মডার্নার ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ আমাদের হাতে আছে। সিনোভ্যাকেরও দ্বিতীয় ডোজ আমাদের হাতে আছে। ২১ আগস্ট আমরা অ্যাস্ট্রেজেনেকার ভ্যাকসিন পেয়েছি। আমরা আশা করি এ মাসের শেষে ফাইজারের ভ্যাকসিন পাব, যেটা আমাদের ৬০ লাখ দেওয়ার কথা। আর সেপ্টেম্বরে পুরোটা পেয়ে যাব। চীনের সিনোফার্মা এ মাসের শেষে ১০ লাখ পাব।
তিনি বলেন, ১০-১৫ দিনে আমাদের ভ্যাকসিনের বিষয়ে কাজ হয়েছে এবং অনেক অর্ডার দেওয়া হয়েছে। চীনে নতুন করে ছয় কোটি ডোজের জন্য অর্ডার দেওয়া হয়েছে। তার আগে দেড় কোটির আর্ডার ছিল, মোট সাড়ে সাত কোটি ডোজ সিনোফার্মের অর্ডার হয়েছে।
গত কয়েক দিনে করোনা সংক্রমণ কমে গেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, গতকালও দেখলাম ১৫ শতাংশের নিচে নেমেছে (নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণের হার), যেটি ৩২ শতাংশে উঠেছিল। পাশাপাশি মৃত্যুর পরিমাণ কমেছে, যেটি আগে প্রায় ৩০০ (এক দিনে) হয়েছিল। সেটি ১২০-এ নেমেছে পরশু। রোববার ২২ আগস্ট আবার একটু বেড়েছে।
সারাবাংলা/এসবি/এনএস