‘বঙ্গবন্ধু হত্যার পলাতক খুনিদের অবস্থান জানতে পেরেছি’
২৩ আগস্ট ২০২১ ২৩:১১
ঢাকা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আমরা বঙ্গবন্ধু হত্যার যে কয়েকজন খুনি পালিয়ে রয়েছে তাদের মধ্যে দুয়েকজনের অবস্থান জানতে পেরেছি। তাদের দেশে আনার জন্য চেষ্টা চলছে। দেশে এনে বিচারে যে শাস্তি দিয়েছে সেটা বাস্তবায়ন করব।
সোমবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় শোক দিবস স্মরণে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
১৫ আগস্ট জাতির পিতা নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা স্মরণ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘তারা (খুনিরা) মনে করেছিল বঙ্গবন্ধু নেই। তার চেতনার পরিসমাপ্তি ঘটেছে। তার যে চিন্তা তার যে ত্যাগ সব কিছু শেষ হয়ে গেছে। তারা বুঝতে পারেনি, তারা অনুভব করতে পারেনি যে, জীবিত বঙ্গবন্ধুর চেয়ে মৃত মুজিবের শক্তি বেশি। ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশের এ-প্রান্ত থেকে ও-প্রান্তে ছুটে বেড়িয়ে বাংলার মানুষের সঙ্গে মিশিয়ে গেলেন, তার নেতৃত্বেই বাংলার মানুষ আবার ঘুরে দাঁড়াল।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এই কুচক্রীরা সমস্ত ষড়যন্ত্র করার জন্য কেন যে আগস্ট মাসকে বেছে নেয় আমরা জানি না? আমার মনে হয়, যারা বিএনপি তারাই জামায়াত, তারাই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি। সেজন্য তারা বারবার এই আগস্ট মাসেই হত্যাকাণ্ড ও ষড়যন্ত্রগুলো করে।’
বিএনপি-জামায়াত জোট শাসনামলে রাজাকারের গাড়িতে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা তুলে দেয়ার সমালোচনা করেন। আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘রাজাকারের জনক নিজামীর গাড়িতে বাংলাদেশের পতাকা উড়তে দেখেছিলাম আর তখন আমরা (মুক্তিযোদ্ধারা) নিজের গায়ে চিমটি কেটে দেখেছিলাম আমরা বেঁচে আছি না মরে গেছি।’
তিনি বলেন, ‘সেই জায়গা থেকে আমরা মুক্তি পেয়েছি। এই ঘাতকরা ঠিকই ধরেছিল বঙ্গবন্ধুর রক্ত রাখা যাবে না। কিন্তু খোদার অশেষ মহিমায় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যাই আমাদের মাঝে বেঁচে আছেন। তারা এসে দেখিয়ে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর রক্ত হলো শক্তি।’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে রাজনীতিবিদের ঝামেলা কী বার্তা বহন করে? সাংবাদিকদের এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এই বরিশালের ঘটনা একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিজেদের দায়িত্ব পালন করেছেন। রাজনীতিবিদরা রাজনীতি করেন। তাদের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হতেই পারে। এটি নতুন কিছু নয়। এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা।’
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসাবে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, বিশেষ অতিথি হিসাবে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক এবং প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচায বক্তব্য দেন। মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম হোসেনের সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করেন সাইদুর রহমান হৃদয়।
সারাবাংলা/এনআর/পিটিএম