‘বাধা সত্ত্বেও নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ৭৬৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ’
২৪ আগস্ট ২০২১ ২০:৫২
ঢাকা: বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে জমি, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্থাপন মূল্য, সাশ্রয়ী মূল্যের স্টোরেজ সিস্টেম ও প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা অন্যতম বাধা। তবে এত বাধা সত্ত্বেও বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ৭৬৬.৬৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে।
মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) আন্তর্জাতিক সৌর জোটের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আঞ্চলিক কমিটির তৃতীয় ভার্চুয়াল সভায় এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নাবায়নযোগ্য জ্বালানির দ্রুত প্রসারে গবেষণা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে একক সমন্বিত পদ্ধতি অবলম্বন করা প্রয়োজন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলকে বিদ্যুতায়নের আওতায় আনার জন্য সোলার হোম সিস্টেম এবং সোলার মিনি গ্রিড প্রোগ্রাম এর মতো কিছু উদ্ভাবনী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। সোলার হোম সিস্টেম প্রোগ্রাম বাস্তবায়নে বাংলাদেশ অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ৬ মিলিয়ন সোলার হোম সিস্টেমের মাধ্যমে মোট জনসংখ্যার ১২ শতাংশকে বিদ্যুৎ দেওয়া হচ্ছে।
জমির স্বল্পতার জন্য বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশে বড় আকারের সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন বেশ দুষ্ক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভাসমান সৌর এবং ছাদ সৌর’র মতো সমাধানগুলির দিকে আমরা নজর দিচ্ছি। ছাদ সৌরবিদ্যুৎ’র বিষয়ে উৎসাহিত করার জন্য নেট মিটারিং নির্দেশিকা প্রণয়ন করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সৌর জোট (আইএসএ) একটি কর্মমুখী, সদস্য চালিত বর্ধিত সহযোগী প্ল্যাটফর্ম, যা সৌরশক্তি প্রযুক্তি স্থাপন, শক্তির নিরাপত্তা ও টেকসই উন্নয়ন এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোতে শক্তির অ্যাক্সেস উন্নত করতে সহায়তা করে। সৌর জোটের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আঞ্চলিক কমিটির তৃতীয় সভায় পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য কৌশলগত পরিকল্পনা, ‘ওয়ান সান ওয়ান ওয়ার্ল্ড ওয়ান গ্রিড’ উদ্যোগের অগ্রগতি, ২০৩০ সালের মধ্যে সৌর বিনিয়োগে এক ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার সংগ্রহের জন্য রোডম্যাপ ইত্যাদি আলোচনা করা হয়।
সভায় আইএসএ’র মহাপরিচালক অজয় মাথুরের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মাঝে অস্ট্রেলিয়ার জ্বালানি ও নিঃসরণ হ্রাস মন্ত্রী অ্যাঙ্গাস টেলর, কম্বোডিয়া কিংডমের খনি ও জ্বালানি মন্ত্রী সুই সেম, ভারতের বিদ্যুৎ এবং নতুন ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি মন্ত্রী আর.কে. সিং, মালদ্বীপের পরিবেশ ও জ্বালানি মন্ত্রী ড. হুসাইন রাশেদ হাসান এবং ওমানের পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালেম বিন আল-তোবি বক্তব্য রাখেন।
সারাবাংলা/জেআর/এসএসএ