‘আবহাওয়া অনুকূলে এলে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা শূন্যে নেমে আসবে’
২৫ আগস্ট ২০২১ ১৩:০৯
ঢাকা: বাংলাদেশে এডিস মশা বিস্তারের অন্যতম কারণ আবহাওয়া উল্লেখ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, আবহাওয়া অনুকূলে এলে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা শূন্যে নেমে আসবে। এ বছর বৃষ্টি বেশি হওয়ার কারণে ডেঙ্গু বেশি ছড়িয়ে পড়েছে।
বুধবার (২৫ আগস্ট) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সিটি করপোরেশন ও অন্যান্য মন্ত্রণালয়/বিভাগ, দফতর/সংস্থার কার্যক্রম পর্যালোচনার ১১তম আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।
মেয়র বলেন, বিশেষজ্ঞরা বলছেন এডিস মশা বিস্তারের একটি অন্যতম কারণ হচ্ছে আবহাওয়া। বৃষ্টির পরিমাণ বেশি হলে এডিস মশার বিস্তার বেশি হবে। এবার বৃষ্টি বেশি হওয়ায় এডিস মশা সেই অনুকূল আবহাওয়া পেয়েছে। শ্রাবণ মাসের পুরো সময়ই বৃষ্টি হয়েছে, ভাদ্র মাসেও বৃস্টি হচ্ছে। এটা আমাদের জন্য বড় প্রতিকূলতা।
মেয়র বলেন, আমাদের দেশে অপরিকল্পিত নগরায়নের কারণে মশার উৎসস্থল ব্যাপক। বিশেষ করে শহরে গড়ে উঠেছে ছাদবাগান। এছাড়াও রয়েছে ছোট ছোট আধার। যা ধ্বংস করা দূরহ। এরপরও বিশাল কর্মযজ্ঞের কারণে আমরা ঢাকাবাসীকে এডিস মশা থেকে পরিত্রাণ দিতে পারছি এবং এই মশার বিস্তারকেও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি। সে পরিপ্রেক্ষিতে সামগ্রিকভাবে যদি বলা হয়, ২০১৯ সালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ছিল ২ হাজার ২৫৩ জন। আর ২০২১ সালে সেটা নিয়ন্ত্রণ করে ২ হাজার ২৮৬ তে রাখতে পেরেছি। ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে ছিল ৫২ হাজার ৬৩৬ জন, সেটা এ বছর কমিয়ে ৫ হাজার ৯১৭ জনে রাখতে পেরেছি।
মেয়র আরও বলেন, ২০১৯ সালে ডেঙ্গু পরিস্থিতির যে অবস্থা ছিল তার দশ ভাগের একভাগে এনে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পেরেছি। বিরূপ প্রতিকূল পরিবেশ-পরিস্থিতি থাকা সত্ত্বেও স্বাস্থ্যবিভাগ, সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলররা মিলে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমানোর জন্য কাজ করেছে। দুঃখের বিষয় হচ্ছে যে, এরপরও ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ৩৫ জন মারা গেছেন। সবচেয়ে কস্টদায়ক ব্যাপার হচ্ছে, বাচ্চারা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য অধিদফতর আরও কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি ।
এসময় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামকে উদ্দেশ্য করে মেয়র বলেন, ডেঙ্গু রোধে কাজ করতে গিয়ে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয়। আমরা ডেঙ্গুর তথ্য চাইতে মন্ত্রণালয়ে ফোন করলে অনেকে বিরক্ত হয়ে যান। অনেকে ফোন কেটে দেন। এরকম কিছু পরিস্থিতি আমাদের মোকাবিলা করতে হয়। আমি বলব এক্ষেত্রে অভিভাবকেরা আরও সচেতন হবেন। উদাসীনতার কারণে এই পরিস্থিতি আরও ব্যাপক হয়। আমরা সবার সহযোগিতা চাই, সবার প্রচেষ্টায় ডেঙ্গুর প্রকোপ কমিয়ে আনা সম্ভব।
মেয়র বলেন, আপনারা লক্ষ্য করবেন একটু বিরতি হলেই ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যাচ্ছে। কয়েকদিন আগে জাতীয় শোক দিবসসহ তিন দিন ছুটি গেল। তারপরই দেখলাম রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। যদিও আমরা সেটা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। আমাদের কার্যক্রম চলমান আছে।
সারাবাংলা/জেআর/এসএসএ