‘কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণে আলাদা অধিদফতর নয়’
২৫ আগস্ট ২০২১ ১৬:০২
ঢাকা: কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণে আলাদা কোনো অধিদফতর গঠন করা হবে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, অধিদফতরের পরিবর্তে ইন্ট্রিগ্রেটেড ভেক্টর ম্যানজমেন্ট বাস্তবায়ন করা হবে। ভেক্টর ম্যানজমেন্টের মাধ্যমেই এডিস মশাসহ অন্যান্য কীটপতঙ্গ সমস্যার সমাধান করা হবে।
বুধবার (২৫ আগস্ট) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সিটি করপোরেশন ও অন্যান্য মন্ত্রণালয়/বিভাগ, দফতর/সংস্থার কার্যক্রম পর্যালোচনার ১১তম আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ করতে আলাদা অধিদফতরের পরিবর্তে আমরা ইন্ট্রিগ্রেটেড ভেক্টর ম্যানজমেন্ট করতে যাচ্ছি। এটার জন্য কাজ চলছে। সারা দেশের জন্য এটা করব।
গ্রামে এডিস মশার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা খুব কম জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এটা আমাদের সবচেয়ে বড় ভরসার জায়গা। যেখানে মাটি আছে, সেখানে মশা ডিম পারলেও তা ফুটবে না।
পরিবেশের ক্ষতি না হয় সেটা মাথায় রেখেই বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, হুটহাট কিছু করা যাবে না। পরিবেশ ও মানুষের কথা চিন্তা করতে হবে। মশা মারতে গিয়ে মানুষ মারতে চাই না। রাজধানীতে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বাড়লেও বৈশ্বিক বাস্তবতায় বাংলাদেশ এখনও ভালো অবস্থায় আছে।
এডিস মশার প্রজননের কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, যদি ভারি বৃষ্টি হয় তাহলে বৃষ্টি হলেও সমস্যা নেই। থেমে থেমে বৃষ্টি হলে, পানি জমা থাকলে সমস্যা। কারণ সে পানিতে এডিস মশার প্রজনন হয়।
তিনি রাজধানীবাসীর উদ্দেশে বলেন, যদি ছাদবাগান করেন তাহলে ফুলের টবের মধ্যে কয়েক ফোঁটা কেরোসিন তেল দিয়ে দিতে হবে। এর ফলে প্রতিদিন পানি সরাতে হবে না। কেরোসিন দিলে সেখানে মশার লার্ভা হবে না।
ডেঙ্গু মশা নিধনের কীটনাশক সহজলভ্য করার কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এর আগে শুধু একটা কোম্পানি কীটনাশক আমদানি করত। এখন ওপেন করে দেওয়া হয়েছে। এখন কিছু বেসরকারি কোম্পানি সেই কীটনাশক আনছে, সেগুলো বিভিন্ন দোকানে বিক্রির ব্যবস্থা করা হবে।
সারাবাংলা/জেআর/এসএসএ