অর্থ আত্মসাৎ মামলায় বিটিসিএলের ৪ কর্মকর্তাসহ ৫ জনকে খালাস
২৫ আগস্ট ২০২১ ১৯:০২
ঢাকা: বাংলাদেশ টেলিকমিউনেকশন লিমিটেডের (বিটিসিএল) চার কর্মকর্তাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে সাড়ে ১৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের একটি মামলায় বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত ।
বুধবার (২৫ আগস্ট) ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
খালাসপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন বিটিসিএল এর সাবেক পরিচালক (পরিদর্শন ) মো. মাহবুবুর রহমান, তখনকার বিভাগীয় প্রকৌশলী (আইটিএস) এ কে এম আসাদুজ্জামান, সাবেক সদস্য (রক্ষণাবেক্ষণ ও চালনা) প্রকৌশলী মো. তৌফিক, তখনকার ব্যবস্থাপনা পরিচলক মু. আবু সাঈদ খান এবং যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি অ্যারিস্টোকল সার্ভিসেস এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি এস এম ইসতিয়াক।
দুদকের তৎকালীন উপ-পরিচালক এস এম সাহিদুর রহমান ২০১২ সালের ৫ নভেম্বর রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, অ্যারিস্টোকল সার্ভিসেস আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার হিসেবে কল আদান প্রদানের জন্য ২০১০ সালে বিটিসিএল এ একটি চুক্তির প্রস্তাব দেয়। পরে তাদের একটি সার্কিটে (এসটিএম-১) সংযোগ দেওয়া হয়। এরপর বিটিসিএলের অর্থ শাখা থেকে, অ্যারিস্টোকলের ২ লাখ ১০ হাজার ৬৫৬ ডলার বকেয়া থাকার তথ্য জানানো হলে অনুমোদিত ৬৩টি সংযোগের মধ্যে ৩৩টি বন্ধ করে দেয় বিটিসিএল। তারপরও বকেয়া পরিশোধ না করায় ওই বছর নভেম্বরে অ্যারিস্টোকল সার্ভিসেসকে বরাদ্দ সকল সার্কিট বিচ্ছিন্ন করা হয়।
পরে যাচাই বাছাই না করেই অ্যারিস্টোকল সার্ভিসেসের সংযোগ পুনরায় চালুর অনুমোদন দেয় বিটিসিএল। মার্কিন ওই কোম্পানি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বকেয়া টাকা পরিশোধ না করায় বিটিসিএল ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে স্থায়ীভাবে তাদের সংযোগ বন্ধ করে দেয়। অ্যারিস্টোকলের কাছে বিটিসিএলের তখন পাওনা ছিল ২৯ লাখ ৭২ হাজার ৮২৪ ডলার। ওই কোম্পানির নামে ব্যাংক গ্যারান্টির ১০ লাখ ৭৭ হাজার ৮৪৪ ডলার পরে বাংলাদেশি মুদ্রায় ভাঙিয়ে নেয় বিটিসিএল। তারপরও পাওনা থাকে ১৮ লাখ ৯৪ হাজার ৯৭৯ ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৫ কোটি ৫০ লাখ ৬৬ হাজার টাকা।
২০১৩ সালের ৩০ জুলাই মামলাটি তদন্তের পর প্রথমে দুই আসামি মো. তৌফিক, আবু সাইদ খানকে বাদ দিয়ে বাকিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছিলেন তদন্ত কর্মকর্তা। পরে সম্পূরক অভিযোগপত্রে তাদেরও আসামির তালিকায় যুক্ত করা হয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আমিনুল গণী টিটো জানান, দুদক কথিত আত্মসাতের ঘটনা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় বিচারক আসামিদের খালাস দিয়েছেন।
সারাবাংলা/এআই/একে