Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জ্বর হলে করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গু পরীক্ষার আহ্বান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৫ আগস্ট ২০২১ ২০:১০

ঢাকা: দেশে একদিকে যেমন চলছে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারি ঠিক তখনই বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাও। এমন অবস্থায় কারও জ্বর হলে এখন করোনা পরীক্ষার পাশাপাশি ডেঙ্গু পরীক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

বুধবার (২৫ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদফতর আয়োজিত ভার্চুয়াল বুলেটিনে এ আহ্বান জানান প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র ও সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।

বিজ্ঞাপন

অধ্যাপক নাজমুল বলেন, ‘গত ৮ মাসের মধ্যে আগস্ট মাসে ডেঙ্গু রোগী সবচেয়ে বেশি ছিল। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের যেসব জায়গায় ডেঙ্গু বেশি সেসব এলাকায় মশা নিধনে ব্যবস্থা নিতে সিটি করপোরেশকে বলা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ২৫৮ জন ডেঙ্গু রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের অধিকাংশই রাজধানীর বাসিন্দা। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ২১২ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৬ জন।’

গত কয়েকদিন আগে স্বাস্থ্য অধিদফতর এডিশ মশা নিয়ে জরিপ করেছে জানিয়ে নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘লার্ভার ঘনত্ব অনুযায়ী ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার মগবাজার, নিউ ইস্কাটন, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, নিকুঞ্জ, মিরপুরের দারুস সালাম, মিরপুর–১০, কাজীপাড়া, নিকেতন এলাকায় ব্রুটো ইনডেক্স বেশি পাওয়া গেছে।’

তিনি বলেন, ‘কোনও এলাকায় এডিস মশার ঘনত্ব পরিমাপের একক ব্রুটো ইনডেক্স ২০ এর বেশি হলেই তাকে ঝুঁকিপূর্ণ উপস্থিতি বলা যায়। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ১০টি ওয়ার্ডের ১৯টি এলাকার ব্রটো ইনডেক্স ৪০ এর বেশি পাওয়া গেছে। দুই সিটি করপোরেশনের ৫৬টি এলাকায় ব্রটো ইনডেক্স ছিল ২০ বা তার বেশি।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘জরিপে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার বাসাবো, গোড়ান, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, আর কে মিশন রোড, টিকাটুলি, বনশ্রী, মিন্টোরোড এবং বেইলি রোডেও স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি পাওয়া গেছে। আর প্লাস্টিকের ড্রাম, প্লাস্টিকের বালতি, ফুলের টব, পরিত্যাক্ত গাড়ির টায়ার, রঙের কৌটাতে এডিসের লার্ভা বেশি পাওয়া গেছে।’

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র বলেন, ‘প্রতিকারের জন্য তিনদিনের বেশি যেন পানি জমা না থাকে, মশারি ব্যবহার করা এবং শিশু-বয়োজ্যেষ্ঠদের শরীর ঢাকা পোশাক পড়তে হবে।’

দেশের করোনা পরিস্থিতি সর্ম্পকে জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘গত এক সপ্তাহে নমুনা পরীক্ষা, নতুন রোগী শনাক্ত এবং মৃত্যু সবই আগের সপ্তাহের চেয়ে কমেছে। এ মাসের শেষ সপ্তাহে এসে আগের চেয়ে কম হচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকলে সেটা সবার জন্য স্বস্তিদায়ক হবে।’

জানুয়ারি থেকে জুলাই মাসের সংক্রমণ চিত্রের কথা বলতে গিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র বলেন, ‘আগস্টে মোট দুই লাখ ২৯ হাজার ৪৮০ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। আগের মাসের চেয়ে এটা কিছুটা কম; যা কিনা জুলাইয়ে ছিল তিন লাখ ৩৬ হাজারের বেশি।’

করোনা রোগীর বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে ঢাকা জেলাতেই সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছেন, এরপর রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ। আর সবচেয়ে কম রোগী শনাক্ত হয়েছেন নোয়াখালী জেলায়। সবচেয়ে বেশি রোগী সুস্থও হয়েছেন ঢাকা বিভাগে, এরপর রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ।

৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সীদের মধ্যেই সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সামগ্রিকভাবে ৪১ বছরের ঊর্ধ্বে মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। মৃত্যুর সংখ্যাও বেশি ঢাকা বিভাগে, এরপর চট্টগ্রাম বিভাগ।’

সারাবাংলা/এসবি/একে

করোনা কোভিড-১৯ জ্বর ডেঙ্গু নভেল করোনাভাইরাস

বিজ্ঞাপন

আদানি গ্রুপের নতুন সংকট
২২ নভেম্বর ২০২৪ ১৫:৩৬

আরো

সম্পর্কিত খবর